ঢাকা ওয়াসা দক্ষিণ এশিয়ার সেবার খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে পিছিয়ে নেই বলে জানিয়েছেন, সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত বিল কালেকশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। তাকসিম এ খান বলেন, গত ২০০৯ সাল থেকে ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে একটি গতিশীল, টেকসই এবং গণমুখী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা ওয়াসা দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এখন আর পিছিয়ে নেই। এটা শুধু আমাদের কথা না। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক, জাইকা, এ এফডিসহ যতগুলো ডেভলমেন্ট পার্টনার আর্থিক খাতে কাজ করে, তাদের সবার কথা।
তিনি বলেন, গ্রাহকের থেকে পানির বিল উত্তোলনে ওয়াসার কার্যক্রমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা শহরে ঢাকা ওয়াসার গ্রাহক সবাই। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের সেবাকে কীভাবে আরও বেশি গণমুখী করা যায়। আমরা ডিজিটাল করার চেষ্টা করছি। আমাদের এই কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ওয়াসা এমডি বলেন, ২০১১ সালে আমরা যখন বললাম, শুধু এক জায়গায় বিল দেওয়া চলবে না। ২০১২ সালে প্রথম আমরা একটা ব্যাংককে পেয়েছিলাম, প্রথম তাদের সঙ্গে চুক্তি করি। তাদের চারটি শাখা ছিল। যেকোনো শাখায় বিল দেওয়া যাবে। সেই যাত্রা থেকে শুরু করে এখন মোট ৩৪টি ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা চুক্তি আছে। আমাদের সার্ভারে তাদের এক্সেস আছে। প্রত্যেকটা মানুষের বিল ওয়েবসাইট আছে। কাগজের প্রয়োজন নেই। আমাদের এখানে এসে শুধু অ্যাকাউন্ট নাম্বারটা বললেই বিল দেখতে পাবেন। আমি সব ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, অনুষ্ঠানে ৩৪টি ব্যাংক ও পাঁচটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন