চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এবং রনজিৎ কুমার কর্মকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম মাউশি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সততা উদঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরীর সাথে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন।
নিয়োগ বিধি ১৯৯১ অনুযায়ী তাদের নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে প্রথমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিলেও পরবর্তীতে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ‹প্রদর্শক› শ্রেণির ক্যাটাগরীর দশম গ্রেডের পদগুলোকে তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে নিজেরা (মাউশি) নিয়োগ দেয় কিন্তু পদোন্নতির বেলায় পিএসসির মাধ্যমে ২য় শ্রেণি বা দশম গ্রেড দেখিয়ে ক্যাডার সার্ভিসের সাথে আত্মীকরণ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, আমাদের কাজ নিয়োগ দেই আর পিএসসি›র দায়িত্ব প্রমোশন দেওয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।
এ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, নথির নোটশীটে দশম গ্রেডের পদগুলোকে দ্বিতীয় শ্রেণী উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে অনুমোদন নেয়া হয় এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। এতদ্বিষয়ে নিয়োগ বিধি এবং কমিটির কার্যবিবরণীসহ আরো অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে সরবরাহকৃত কাগজপত্র যাচাইপূর্বক বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন