কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে লিখিতভাবে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম. মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।
এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করা হয়। এতে জনপ্রশাসন সচিবসহ ৪০ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহিনুজ্জামান রিটটি ফাইল করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিক নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট করা হয়। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আদেশ দেন। কিন্তু সেই রায় এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে রিট করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন