বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টাও : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে থানায় সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া বাকি দুইজনের অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার সত্যতা না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে ভর্তিচ্ছুর ক্যারিয়ার নষ্ট হয় এমন মন্তব্য করে আটক ভর্তিচ্ছুদের সাজা দিতে অপারগতা জানিয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালত।
গতকাল শুক্রবার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। থানায় সোপর্দকৃতরা হলো- আজিমুল আবিদ খান রিফাত, আব্দুল্লাহ আল কাজিম মুহসী, তারিকুল ইসলাম তুহিন, তাওহীদুল ইসলাম, এনামুল হক, মিলন হোসেন ও আবু সাঈদ। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে রিফাত ও মুহসী, নীলক্ষেত হাই স্কুল থেকে তুহিন, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে তাওহীদুল ও এনামুল, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে মিলন এবং শেখ বাওয়ানি কলেজ কেন্দ্র থেকে আবু সাঈদকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্র এ এম আমজাদ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিতে অপরাগতা জানানোয় আমরা তাদের থানায় দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো জানানব, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মুঠোফোন এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেছে। তাঁরা মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করে প্রশ্ন বাইরে পাঠাচ্ছিলেন। পরে কেন্দ্রের বাইরে থেকে জালিয়াত চক্রের সদস্যরা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন।
জানা গেছে, ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আটক ১৩ শিক্ষার্থীকে দুই বছর করে সাজা দেয় ভ্রম্যমাণ আদালত। পরে তারা আপিলে খালাস পান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫৪টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ঢাকা শহরের ৪৫টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৯৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর এক হাজার ৫৪০টি (বিজ্ঞানে ১০৯৭টি, বিজনেস স্টাডিজে ৩৯০, মানবিকে ৫৩টি) আসনের জন্য ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ নয় হাজার ১৭০ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন