মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলা গত ১৩ ডিসেম্বর চীনের সিনচিয়াংয়ে প্রথমবারের মতো একটি কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে। এ সম্পর্কে টেসলা কোম্পানির চীনের পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তা বলেন, সিনচিয়াং স্ব-চালিত গাড়ির স্বর্গ। অনেক মানুষ সিনচিয়াংয়ে স্ব-চালিত গাড়িতে ভ্রমণ করতে চান। সেজন্য স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য টেসলা উরুমুচিতে বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
তবে মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও এর বিরুদ্ধে টুইটারে নিজের ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করেছেন। হোয়াইটহাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, এতে টেসলা গুরুতর আইনি সমস্যায় পড়তে পারে এবং এর সুনামও নষ্ট হতে পারে। আসলে তাদের কথা যুক্তরাষ্ট্রে গৃহীত তথাকথিত ‘উইগুর জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধ আইন’-এর সাথে সম্পর্কিত। কোনো কোনো মার্কিন রাজনীতিক আইনটির মাধ্যমে চীনের সিনচিয়াংয়ের সাথে মার্কিন কোম্পানির বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করতে চান। কারণ, টেসলার আচরণ তাদের ‘মান-সম্মানে’ আঘাত হেনেছে।
আসলে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলা চীনের বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়। টেসলা চীনের ৬০টিরও বেশি শহরে ২ শতাধিক বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এর মধ্যে শাংহাইয়ে টেসলার কারখানায় ২০২১ সালের উত্পাদনের সংখ্যা গোটা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক। ২০২০ সালে টেসলা সিআন থেকে উরুমুচি পর্যন্ত ‘রেশমপথ’ নামের চার্জিং লাইন চালু করে।
আসলে সিনচিয়াং কেমন? টেসলা নিজের বাস্তব তৎপরতা দিয়ে এর উত্তর দিয়েছে। যেসব বিদেশি সিনচিয়াংয়ে গিয়েছেন, তারাও নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা মাধ্যমে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ৩০ বছর আগে জাপানের টেলিভিশন কেন্দ্র রেশমপথ সম্পর্কিত একটি তথ্যচ্চিত্র তৈরী করে। তথ্যচ্চিত্রটি জাপানে অনেক জনপ্রিয় ছিল। তখন অনেক জাপানি মানুষ সিনচিয়া ভ্রমণ করেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে জাপানের ওসাকায় চীনা জেনারেল কনস্যুলেট মহামারীর পর সিনচিয়াংয়ে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এক মাসে ১০২৮ জন জাপানি তখন সিনচিয়াংয়ে ভ্রমণের আবেদন জানান। একজন জাপানি নেটিজেন বলেন, তিনি শাংহাই থেকে দ্রুতগতির ট্রেনে উরুমুচিতে যেতে চান। তিনি আধুনিক রেশমপথ উপলব্ধি করতে চান।
ইসরাইলি তরুণ সেলিব্রিটি রাজ গ্যালোরের ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ কোটির বেশি। ২০২১ সালে তিনি সিনচিয়াং ভ্রমণ করার সময় একজন তুলাচাষীর সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি নিজের ভিডিওতে সিনচিয়াংয়ের কৃষকদের তুলা চাষ করার প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি তুলে ধরেন। এ কৃষক তুলা চাষ করে বার্ষিক আয় করেন ৭ থেকে ৮ লাখ ইউয়ান।
আরও বেশি বিদেশি ইতোমধ্যেই আসল সিনচিয়াংয়ে গিয়েছেন এবং ওয়েবসাইট ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে সিনচিয়াংয়ের আসল কথা বলেছেন। ২০২০ সালে সিনচিয়াং ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা ছিল অনেক। তারা সিনচিয়াংয়ের উন্নয়ন দেখেছেন এবং নিজেদের ক্যামেরা বন্দি করেছেন। সূত্র: সিআরআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন