দৌলতদিয়া-পাটুুরিয়া নৌরুটে উভয় ফেরি ঘাটে পারের অপেক্ষায় শতশত যানবাহন। দুর্ভোগে হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের। কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে উভয় ঘাটে বসে। লোকসান হচ্ছে এই নৌরুট ব্যবহারকারী সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
গতকাল সোমবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ দুইটি সারি রয়েছে। এতে প্রায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় অলস সময় পার করছে। যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরি পার হতে পারলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ১ থেকে ২ দিন অলস সময় পার করছে ঘাটে বসেই। অনেক যাত্রী দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এসে লঞ্চে পার হচ্ছে।
অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘ সময় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে অপেক্ষায় থাকায় চালকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। লোকসানে হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের। সাধারণ যাত্রীরা নানা প্রকার দুর্ভোগে পড়ছে প্রতিনিয়ত। ট্রাক চালক ইব্রাহিম আলী জানান, ঘাটে আসলেই দুর্ভোগ। দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। কমপক্ষে ১ থেকে ২ দিন ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হয়। তিনি আরও জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জরুরিভাবে রোরো (বড়) ফেরি বাড়ানো প্রয়োজন।
যাত্রীবাহী বাস সাকুরা পরিবহনের যাত্রী কালাম জানান, ঘাটে বসে ৪ ঘণ্টা। আরও ২ ঘণ্টা হয়ত বসে থাকতে হবে। ফেরির অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হচ্ছে। এমন দুর্ভোগ সারা বছর। তিনি দুঃখ করে বলেন, ঘাটে আসলে অপেক্ষায় পালা যেন শেষ হয় না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, এই নৌরুটে ছোট বড় ১৬টি ফেরি চলাচলা করছে। ফেরিগুলো খুব দ্রুত টিপ মারছে আশা করছি তাড়াতাড়িই ঘাটে যানজট নিরাশন হয়ে যাবে। তবে কাঁচামাল ভর্তি ট্রাক ও পরিবহনগুলো অগ্রধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন