শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্পোরেট

লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আহরণ হিলি স্থলবন্দরে

প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : হিলি স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে। এ সময় পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি বাড়ায় রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর শুল্কস্টেশনের কর্মকর্তারা। হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সময়ে বন্দরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৩ হাজার টাকা। এ হিসাবে মোট ১১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা বেশি আদায় হয়েছে। স্থলবন্দর শুল্কস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বন্দর থেকে কাংক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আদায়ের লক্ষ্য কমিয়ে আনে এনবিআর। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। একইভাবে আগস্টে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয় ৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ও সেপ্টেম্বরে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ৯ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। পাথর আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের রাজস্ব আদায় বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনের কর্মকর্তারা। স¤প্রতি পাথর আমদানি উলে­খযোগ্য হারে বেড়েছে এই বন্দর দিয়ে। পাথর আমদানি বাড়লেও বন্দর দিয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক পণ্যের আমদানি কমেছে বলে জানিয়েছেন হিলি কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ, চাল, গম, ভুট্টা, খৈল, ভুষিসহ বিভিন্ন পণ্য বেশি আমদানি হয়। কিন্তু এসব পণ্য আমদানিতে রাজস্ব আদায় খুব একটা হয় না। বেশির ভাগ পণ্যের আমদানি শুল্ক সামান্য। আবার কোনো কোনোটিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা রয়েছে। এ কারণে আগের অর্থবছরগুলোয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন