অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, সবাইকে আমার মতো আজীবন ছাত্র থাকার প্রতিজ্ঞা করা উচিত। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাস্টার্স পাস করলেই পড়ালেখা শেষ হয় না। জ্ঞান আহরণের জন্য আজীবন ছাত্র হিসেবে ব্রত থাকতে হবে। গতকাল ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার বয়স ৮৩ বছর। আমি এখনো ছাত্র হিসেবে শিখেই চলছি। আবার সেগুলো প্রয়োগও করছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরাই ভবিষ্যতে আমাদের চেয়ারে বসবে, এরকম উচ্চ আশা করতে হবে। কারণ আশা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। পড়ালেখা ছাড়া যাবে না। উচ্চ আশার একমাত্র উপায় হলো জ্ঞান আহরণ। লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ যেন কোনো দিন শেষ না হয়। জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে ভিডিও অত্যন্ত চুম্বকভাবে কাজ করে জানিয়ে মুহিত বলেন, সেখানে অনেক ভুলও থাকে। গুগলে এজন্য লেখা থাকে ভুল হলে আমাকে শুদ্ধ করুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিয়ে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্তির হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এ জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোর বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সমাজ ও জাতির বহুমুখী উন্নয়ন হচ্ছে। ডাচ-বাংলার বৃত্তি অন্য ব্যাংকগুলোর জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়ার পিয়ের লাঘামে বলেন, শিক্ষা সব শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এ উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।
২০১৬ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় তিন হাজার ৩৭ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। এসব শিক্ষার্থীকে দুই বছর প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা ও বছরে পাঠ্য উপকরণের জন্য দুই হাজার ৫০০ ও পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা প্রদান করবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সমাপনী বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন