শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিপণিবিতানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

মহামারি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট বেড়েই চলেছে। এ কারণে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। শর্তে বলা হয়, দোকানপাট, শপিং মলে প্রবেশে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। না হলে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু রাজধানীর বেশিরভাগ মার্কেট ও ফুটপাথের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন মার্কেটে মাস্ক ছাড়া দিব্যি ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা গেছে পথচারীদের মধ্যেও। ইতোমধ্যে ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে মাস্ক না পরায় কয়েকজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মার্কেটেগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব মোটেই মানছেন না, যদিও তাদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। মালামাল কিনতে গিয়ে যেন দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। নামিদামি বিপণিবিতানগুলোতে দেখা যায় প্রবেশদ্বারে জীবাণুনাশক টানেল বা জীবাণুনাশক তরল পদার্থ ছিটিয়ে ও মাস্ক নিশ্চিত করে ক্রেতাদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে বিপণিবিতানের ভেতরে অনেক ক্রেতাকেই মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
মার্কেটগুলোতে দেখা যায়, প্রবেশপথে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জীবাণুনাশক টানেল। ক্রেতারা ইচ্ছেমতো ভিড় ঠেলেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করছে। কোনো দূরত্ব মানা হচ্ছে না। নিউ মার্কেট, নিউ সুপার ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়ার মূলফটকের সামনে কোনো জীবাণুনাশক টানেল দেখা যায়নি। দুই-তিনটি পুরনো টানেল থাকলেও তা অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। শীতের পোশাক কেনার জন্য ইতোমধ্যে শপিংমল-মার্কেটের ভেতরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। তবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা কেউ করছেন তা মনে হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব স্বাস্থবিধি মেনে চলছি। তবে ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে অনুরোধ করলেও তারা শুনছেন না। ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। পৌষ মাস শেষ হয়েছে। মাঘের শীত ঠেকাতে ক্রেতারা গরম কাপড় কিনতেই এখন মার্কেটে আসছেন। আর এই মৌসুমের অপেক্ষাই করেন বিক্রেতারা। ফলে ক্রেতারা যেমন যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, আবার অনেক বিক্রেতাও মানতে পারছে না।
তবে ক্রেতারা জানান, প্রতিটি দোকানে ভিড়, যে কারণে কারও পক্ষেই স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। বাচ্চাদের জন্য শীতের নতুন জামা-কাপড় কিনতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েও এসেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন