স্টাফ রিপোর্টার : ভয়াবহ দমন-পীড়ন ও ভোটারদের ভোট প্রদানের অধিকার কেড়ে নেয়ার সম্ভাবনা থাকলেও গণতন্ত্র রক্ষা করার আন্দোলন হিসেবে বিএনপি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন বিএনপির এ সিদ্ধান্ত এলো। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানানো হয়। তবে এর আগেই বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫২টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। বিবৃতিতে রিজভী বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, নির্বাচন ওয়াচ গ্রুপসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পর্কে ইতোমধ্যে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনসমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। এতে বলা হয়, বিএনপিও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদসহ যেকোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে সামাজিক বন্ধন বিনষ্ট করবে। পরিবার, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র দলীয় রাজনীতির সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে। বিএনপি আরো বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের পথ চলাকে বিপথে চালিত করার জন্যই সরকারের মদদে নির্বাচন কমিশন এই অযৌক্তিক ও অসময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে আরো বলা হয়, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনজীবনে বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সম্ভাবনা থাকলেও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও ইনক্লুসিভ নির্বাচন চিরায়ত গণতন্ত্রের অঙ্গ। যদিও এখন এদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নির্বাসনে, ভোটারদের ভোটধিকার নিরুদ্দেশ। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভয়াবহ দমন-পীড়ন ও ভোটারদের ভোট প্রদানের অধিকার কেড়ে নেয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সেই ক্ষুদ্র পরিসর সম্প্রসারিত করার আন্দোলন হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের পরপর ভোটের তারিখ নির্ধারণকে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে। বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের পরের দিন পৌরসভা ও ২ দিন পরে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলকে জনমনে বিভ্রান্ত করার জন্যই অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। ইউপি নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চেয়ারম্যান মনোনয়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক - এই মোট ৫ জন একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম অনুমোদন করার জন্য সুপারিশ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন