লালমনিরহ থেকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় আসেন রুবেল মিয়া। পরে চোর সন্দেহে নির্যাতন ও একপর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। হত্যার পর সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে ফেলে রাখা হয় লাশ। ৫ জানুয়ারি হত্যাকান্ডের পর ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের ৫ম তলার একটি কক্ষে থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে দারুস সালাম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তে নেমে গাজীপুরের শ্রীপুর এবং মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান নামে ওই ভবনের দুই দারোয়ানকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর পরেই বেরিয়ে আসে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টার পর থেকে লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন রুবেল মিয়া। গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় দারুস সালাম থানার সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের পঞ্চম তলার ৮১৬ নং কক্ষ থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের চাচা ১৪ জানুয়ারি দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে ডিবি মিরপুর জোনাল টিম। তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রোববার আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, গত ৯ জানয়ারি বিকেল ৪টায় রুবেলকে সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে চোর সন্দেহে আটক করেন সেখানকার দারোয়ানরা। ইতোপূর্বে চুরি যাওয়া মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য রুবেল মিয়াকে তারা রশি দিয়ে বাঁধেন। এরপর একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। নির্যাতনের ফলে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন। ভয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান। নিহত রুবেল চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। তার জামার পকেটে একটি প্রেসক্রিপশনও আমরা পেয়েছি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, এটা পরিকল্পিত মার্ডার নয়। তবুও ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আরও জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন