বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত গণতন্ত্র নির্বাসনে -ব্যারিস্টার হায়দার আলী

প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো: শামসুল আলম খান : বিএনপি বিপর্যস্ত রাজনৈতিক দল নয়। বরং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশই এখন বিপর্যস্ত। বাক স্বাধীনতা, সুশাসন নেই। গণতন্ত্রও এখন নির্বাসনে, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক তথ্য সচিব ব্যারিস্টার হায়দার আলী। তিনি বলেন, বিএনপি বিপর্যস্ত দল নয়, একটি গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি বিশ্বাস করে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার হাতবদল হবে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকে বলা হয় গণতন্ত্রের ত্রাণকর্তা।
ক্ষমতার বাইরে বিএনপি’র ১০ বছর, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে আলোচনা, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শনিবার ইনকিলাবের বৃহত্তর ময়মনসিংহের আঞ্চলিক অফিসে এসে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
চাকরি জীবনে ব্যারিস্টার হায়দার ছিলেন দক্ষ তথ্য সচিব। চাকরি থেকে অবসরের পর সরকারের এ আমলা বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়ান। শেরপুর-১ (নকলা-নালিতাবাড়ি) আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গত ৬ বছরে কমপক্ষে আড়াই শতাধিক সভা-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। তৃণমূলে দলকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত বুধবার থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা নকলা উপজেলায় অবস্থান করে স্থানীয় উপজেলা সদর, অষ্টধার, চন্দ্রকোনাসহ কয়েকটি এলাকায় নিবিড় জনসংযোগ করেন। ব্যারিস্টার হায়দার আলী বিশ্বাস করেন, সরকার দলীয় নেতারা নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়টি যতটুকু গুরুত্বহীন ভাবছে আদতে তা নয়। মূলত সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আলোচনার বিকল্প নেই বলেও মত দেন তিনি।
বিএনপি’র আন্দোলন কেন সফল হল না, জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ থাকলে আন্দোলন সফল হতো। বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন হয়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল নয়। তারা পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে বিরোধী দলকে দমন করতেই সিদ্ধহস্ত।
পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে চলমান মহাসঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সময়ের দাবি। দলীয় সরকারের অধীনে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গতবারের একতরফা সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করে ভুল করেননি বলেও মনে করেন ব্যারিস্টার হায়দার আলী। তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগও নৃশংস, নিষ্ঠুরপন্থায় নির্বাচন বর্জন করেছে। ক্ষমতায় যেতে রেকর্ড হরতাল করেছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার আগ্রহের বিষয়ে সাবেক এ তথ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূলত নাটকীয় কাজ করেছেন। ওই সময় দুই পক্ষ আলোচনায় বসলেও লাভ হতো না। কারণ, আলোচনা হতে হবে ২ থেকে ৩ বছর আগে। এখন সামনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বিতর্কিতদের এখনই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন