শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কক্সবাজার সৈকতে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের বিচ ওয়াকওয়ে

প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্যয় হবে ১৫ কোটি টাকা
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : পৃথিবী দীর্ঘ বেলাভুমি কক্সবাজার সৈকতকে আরো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে শুরু হয়েছে উন্নয়ন কার্যক্রম। বালিয়াড়ি আর ঝাউবীথির বুক চিরে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের ‘বিচ ওয়াকওয়ে’। দৃষ্টিনন্দন সড়ক এই বিচ ওয়াকওয়ে সড়কের দুই পাশে ফুলের টপ, কপি শপ, চেঞ্জিং রুম, সাইকেল ক্যান্টিন, বাথরুম ব্যবস্থা থাকবে। বিকালবেলার পর্যটকদের জন্য স্পেশাল বিনোদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনার আওতায় হচ্ছে এই সড়ক। সড়কের দুই পাশে থাকছে পর্যাপ্ত লাইটিং, ল্যান্ড স্কেপিং, ট্রি প্লান্টেশন তথা মনোমুগ্ধকর বাগান। পর্যটকদের সুবিধা ও বিনোদনমাত্রা আরো বাড়াতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী সৈকত পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে বিকল্প এই বিচ ওয়াকওয়ে।
জানা গেছে, প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ আগামী জানুয়ারি নাগাদ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যটকবান্ধব প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি। ‘সাইকেলওয়ে-ওয়াকওয়েসহ পর্যটকদের জন্য অন্যান্য সুবিধা নির্মাণ’ প্রকল্পটি বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সৈকতের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়েছে বেশ কিছু ড্রয়িংও। ফাইলটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট সূত্র। আগামী জানুয়ারি থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শুরু হবে এই ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ।
এছাড়াও পর্যটন শহরের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত কলাতলী মোড়কে সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে। নেয়া হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন নানা প্রকল্প। এখানে বসে পর্যটকরা নিজের সঙ্গীকে নিয়ে সমুদ্র দেখতে দেখতে মনের আনন্দে কপি ও চা পান করতে পারবে। অনুকূল আবহাওয়ায় মুক্ত আকাশে বসে মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধায় থাকছে ফ্রি ওয়াইফাই জোন। সব মিলিয়ে সৈকতে আসা পর্যটকরা পাবে আলাদা সুযোগ-সুবিধা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ সড়কের দুই পাশে কপি শপ, চেঞ্জিং রুম, সাইকেল ক্যান্টিন, বাথরুম ব্যবস্থা থাকবে। বিকালবেলার পর্যটকদের জন্য স্পেশাল বিনোদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে এখানে। সড়কের দুই পাশে থাকবে পর্যাপ্ত লাইটিং, ল্যান্ড স্কেপিং, ট্রি প্লান্টেশন তথা মনোমুগ্ধকর বাগান। সম্প্রতি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। কউক চেয়ারম্যান কর্নেল (অব:) ফুরকান আহমদ জানান, কক্সবাজারকে বিশ^মানের উন্নত পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম এর মাধ্যমে শুরু হলো।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া জানান, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফাইল প্রসেস হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে পাস হলেই কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ৬ মাস লাগতে পারে। তার মতে, সৈকতকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। সাগরকূল ঘেঁষে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের বিনোদনমাত্রা আরো অনেক গুণে বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন