বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম করোনার প্রতিরোধক টিকা পরিবহনের জন্য ১৪ হাজার ৬৯৪ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭ শ’ টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকা পরিবহনের ব্যয় সরকার বহন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও তিনি বিরাট অঙ্কের ব্যবসা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর টিকা পরিবহনের জন্য ৩৪ হাজার ৬শ’ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। আগৈলঝাড়ায় মোট ১৫ হাজার ২শ’ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিশেষ বিচেনায় ৫০৪ জনের কাছ থেকে টাকা নিতে সাহস পাননি।
আগৈলঝাড়ার কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, বিদ্যালয় ভেদে প্রত্যেক বিদ্যালয় থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। আর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই টাকা উত্তোলন করেছেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাবদ ২২ শ’ টাকা করে দেয়া হয়েছে। মোট ১৩ দিনে ২২শ’ টাকা হিসাবে ২৮ হাজার ৬ শ’ এবং চালককে ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার ৬ শ’ টাকা। এদিকে এই চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ পেলে উপজেলা প্রশাসন ঘটনার তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, টিকা পরিবহন ও প্রদানের যাবতীয় খরচ সরকার বহন করছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের কোনেনা কারণ থাকতে পারে না।
অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, টিকা আগৈলঝাড়ায় এনে পৌঁছে দেয়ার জন্য পাঁচ জন শিক্ষক নেতা টাকা তুলেছেন। সেই টাকা জমা রাখা হয়েছিল অফিস সহায়ক মন্টু বাবুর কাছে। সম্ভবত ৬ থেকে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হতে পারে। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। আর যে টাকা তোলা হয়েছিল তা আগামী রোববার হিসাব দেয়ার কথা। তিনি নিজে কারো কাছ থেকে টাকা উত্তোলন বা গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন