সর্বাধিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনকে বির্তকের উর্ধ্বে রাখতে হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে ব্লক চেইন টেকনোলজির মাধ্যমে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে। ব্লক চেইন (ব্লকের তৈরি শিকল) প্রধানত লেনদেনের প্রযুক্ত। এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে চাইলেই লেনদেনে গড়মিল তৈরি করা সম্ভব না। ইভিএমের আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে ব্লক চেইন পদ্ধতি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল এসব কথা বলেন।ব্লক চেইনের প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে আমীর ফয়সল উল্লেখ করেন, ভোটার ডাটা ব্লক চেইনের মাধ্যমে স্টোর করা এবং ভোটের ডাটাবেজ দেশের সকল নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। তার দাবি, ব্লক চেইন পদ্ধতি নন হ্যাকেবল, বাকি সব পদ্ধতি হ্যাকিং হতে পারে।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন মোস্তফা আমীর ফয়সল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকের পার্টির কাদের সঙ্গে নির্বাচন করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সময়ে বলা যাবে।’ সংবাদ সম্মেলনে জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারসহ বিভিন্ন সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইনে হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু আইনের ধারা উপধারাগুলো কী হবে, সম্ভব হলে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণকারী স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হোক। ইভিএম প্রসঙ্গে জাকের পার্টির শীর্ষনেতা বলেন, ‘এভিএম প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়া। এটার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এখনও সকলের আস্থা অর্জন হয়নি।’
তিনি সুষম বন্টন নিশ্চিত করার স্বার্থে অর্থনৈতিক অঙ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা গঠনের দাবি জানান। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে যে আঙ্গিকেই নির্বাচন হোক তাতে জাকের পার্টি অংশগ্রহণ করবে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকারসহ সকল বিরোধী দলের উচিৎ দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাতে সমর্থন দেয়া। মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন