শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাতাসে বিষ ঝুঁকিতে জীবন

ঢাকা এখন বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস, ঢাকায় কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস বর্তমানে দ

রফিক মুহাম্মদ | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় উঠে এসেছে ঢাকা। রাজধানী ঢাকার বাতাসে কুয়াশার মতো ভাসছে ধূলিকণা। বুক ভরে নিশ্বাস নেয়া যাচ্ছে না। গত বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান যাচাই বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আট দিন শীর্ষে ছিল। গত ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি টানা চারদিন বায়ুদূষণে বিশ্বের দূষিত শহরের শীর্ষে ছিল ঢাকা। এ চারদিন ঢাকায় বায়ুর মান সূচক ছিল গড়ে যথাক্রমে ২২৬, ২৩৩, ২৪৩ ও ২৫৮ পিপিএম। বিশেষজ্ঞদের মতে এটা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। এর মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় বায়ুর মান সূচক ছিল ৩৭২ পিপিএম। ওই সময় বায়ুতে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা ‘পিএম ২.৫’ প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৩২২ মাইক্রোগ্রাম। বিশেষজ্ঞদের মতে যা ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। এই অবস্থা পরিবর্তনের এখনই উদ্যোগ না নিলে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা বা রেড এলার্ড জারি ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

বায়ুমানের যা অবস্থা তাতে বলা যায় ঢাকার বাতাসে ভাসছে বিষ। আর এই বাতাসের বিষে জনস্বাস্থ্য এখন চরম ঝুঁকিতে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণসহ অন্যান্য দূষণে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিকাগো ইউনিভার্সিটির এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। ঢাকায় কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণ যদি এভাবে চলতে থাকে তবে শ্বাসতন্ত্রের রোগ অনেক বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ক্যান্সারের মতো রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। অন্যদিকে, উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে গাছের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা ব্যাহত হচ্ছে। একই সাথে ফলজ গাছের ফলন কমে যাচ্ছে। তাই দূষণের শুরুটা বায়ু দিয়ে হলেও শেষ হচ্ছে জনজীবন ও প্রকৃতি বিনষ্টের মধ্য দিয়ে। যা পুরো পৃথিবীর জন্যই মারাত্মক হুমকি।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় মাটি থেকে দুই হাজার টন ধুলোবালি আকাশে উড়ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। ঢাকার বাতাসে ধুলোবালি এবং শিল্পকারখানার ধোঁয়া বেড়ে যাওয়ায় বাতাসের মান দিনদিন খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে দূষণের যে মাত্রা তাতে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের এক গবেষণা অনুযায়ী, গত অক্টেবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যত শিশুকে অভিভাবকরা ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান, তাদের ৪৯ শতাংশ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. নাজমা ইয়াসমীন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, বায়ু দূষণের কারণে রাজধানীর শিশুরা শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথা জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বায়ূদূষণ দীর্ঘমেয়াদি হলে শিশুরা ক্যান্সার এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। শুধু শিশুরাই নয় বায়ু দূষণের কারণে রাজধানীতে সব বয়সি মানুষের শ্বাসতন্ত্রের রোগ বাড়ছে। অন্তঃসত্ত্বা মা বায়ু দূষণের শিকার হলে সন্তান আকারে ছোট হতে পারে, ওজন কম হতে পারে, মানসিক ও স্নায়ুগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অটিস্টিক শিশু জন্ম হওয়ারও একটি কারণ বায়ুদূষণ।

গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে রাজধানীতে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। চালু হয়েছে ইটভাটা এবং শীত মৌসুমের শুরু থেকে পুরোদমে চলছে নির্মাণকাজ। এসব কারণে ঢাকার বায়ুর মান প্রায় প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঢাকায় দূষণ বাড়ার উপযোগী উপাদান দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো, কলকারখানা ও গাড়ির কালো ধোঁয়া দূষণের জন্য দায়ী।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, রাজধানী ঢাকা এখন বিশ্বের সবোর্চ্চ দূষিত বায়ুর শহর। ধুলার কারণে এই দূষণের মাত্রা দিন দিনই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ এক অবিশ্বাস্য বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে বাস করছে। নতুন নতুন অবকাঠামোর নামে প্রতিনিয়ত খোঁড়াখুঁড়ির হচ্ছে নগরের বিভিন্ন এলাকা। ফলে ধুলা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধুলা দূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। আমাদের দেশের বিশেষ করে ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ ইটভাটা, কলকারখানা, নির্মাণকাজ এবং যানবাহনের ধোঁয়া। এ অবস্থায় বায়ুদূষণে ঢাকায় গড় আয়ু কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। বায়ুদূষণ শুধু যে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়। এ দূষণ প্রকৃতিকেও ধ্বংস করছে। বায়ু দূষণের ফলে গাছের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা ব্যাহত হচ্ছে। ফলজ গাছের ফলন অনেক কমে যাচ্ছে।

জনজীবন এবং প্রকৃতি ধ্বংসের পরও বায়ুদূষণ ঠেকাতে সরকারের তেমন উদ্যোগ নেই। বায়ু দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এসব কারণে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। দূষণ কমাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা দিলেও তা উপেক্ষিত। বায়ুদূষণ রোধে উচ্চ আদালত ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, ঢাকার যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে সেসব এলাকা (কাজের স্থান) ঘেরাও করে কাজ করা এবং উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের কারণে ধুলোবালি প্রবণ এলাকায় দিনে দুইবার পানি ছিটাতে ঢাকার দুই সিটি মেয়র ও নির্বাহীগণকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকায় বায়ুদূষণ আবার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বায়ুদূষণ রোধে উচ্চ আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিষয়টি আবারো আদালতের নোটিশে আনতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দূষণ কমাতে আমরা ব্যাপক কাজ করছি। গত দেড় বছরে অবৈধ ইটভাটাগুলোর ৬২ শতাংশ বন্ধ করা গেছে। চলতি মাস থেকে সারাদেশে বায়ু দূষণের বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি এবং জনগণকে বায়ুদূষণ থেকে মুক্ত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Robi UL ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০২ এএম says : 0
সরকারি সুন্দর সুন্দর রাস্তা গুলো হচ্ছে।কিন্তু সরকারের এই ঠিকাদাররা কিছু রাস্তার উপর এখানে সেখানে বালি জমা করে রাখে।এগুলো গাড়ি যাওয়ার সাথে সাথে উড়ে মানুষের গায়ে শরিলে প্রবেশ করে। তারা সুন্দর রাস্তা গুলোকে অসুন্দর করে ফেলে।
Total Reply(0)
Sabina Panna ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০২ এএম says : 0
May Allah safe all of them.
Total Reply(0)
Mahamudul Haque Shobuj ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০২ এএম says : 0
আমাদের বাংলাদেশের রাস্তা গাট এত বালুর কারণ বালুর টাক গুলো কারণ। বালু টাক করে নিয়ে যায় বালু এবং ওপর ঘুরে না নিয়ে এই সব বাতাসে কারণ রাস্তা পড়ে এবং ময়লা রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। বিদেশে মাটিতে ময়লা আবজনা ফেলায় জেল ও জরিমানা আছে। আমাদের বাংলাদেশের জুদি রাস্তা গাটে ময়লা আবজনা ফেলার কারনে জেল ও জরিমানা করা হয়ে থাকে ১০০ % রাস্তা গাট অনেক সুন্দর পরিবেশ হয়ে জাবে।
Total Reply(0)
Mohammad Shohag ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৩ এএম says : 0
পর পর ৩ দিন ঢাকার বাতাস ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দুষিততম। এই বাতাসে শ্বাস নেয়া বিনা মূল্যে সিগারেট টানার সমতূল্য । তার মানে, সায়দাবাদের বাতাস হচ্ছে Star, ফার্মগেটের বাতাস Gold Leaf আর গুলশানের বাতাস Benson!
Total Reply(0)
Shafiq Islam ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৩ এএম says : 0
ঢাকায় সারারাত্র ট্রাকে বালু ওবার লোড করে পরিবহন করায় সমস্ত রাস্তায় বালু ফেলতে ফেলতে যায় যা অন্য পরিবহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ধুলো হয়। ট্রাকে বালু ওবার লোড করে পরিবহন করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
Total Reply(0)
Ashim Ghosh ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৩ এএম says : 0
চট্টগ্রামেও তো একই অবস্থা। আমরা মানুষ হবো কখন????
Total Reply(0)
Jamal Husain ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৪ এএম says : 0
এর জন্য দায়ী রাস্তায় যেখানে সেখানে মনকরা ব্যবহার রাস্তার পাশে যায়গার মালিকের দায়িত্বে দেওয়া উচিত যেন কেউ কিছু রাখতে রাস্তার উপর কিছু করতে না পারে তাহলে রাস্তার জট ও ধুলা মুক্তপরিবেশ হবে।
Total Reply(0)
Md Al Amin Hossin ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৪ এএম says : 0
দেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার আর কিছুদিন ধৈর্য্য ধরতে হবে তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে 2041 সালের ভিতর
Total Reply(0)
Meher Mamun Mosa ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৫ এএম says : 0
উন্নয়নের বিষ বাতাসে মিশে গেছে।
Total Reply(0)
Mosharraf Hossain Mridha ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:০৫ এএম says : 0
বায়ু দূষণ শুধু শহরে নয় গ্রামে ও হয়ে থাকে এ ব্যাপারে সরকারের উচিত অভিযান পরিচালনা এবং মানুষকে সচেতন করা।
Total Reply(0)
Md. A. Joheb Sharear ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৮ এএম says : 0
শুধু মাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়ন আর সব কর্মসংস্থান ঢাকাতে থাকার ফলে দেশের সব প্রান্তের মানুষ ঢাকায় গিয়ে শহরটির উপর একটা চাপ ফেলছে। যার ফলে দূষণের মাত্রা আরো বাড়ছে। তাই উন্নয়নকে Decentralize করার সময় এসেছে। ঢাকা এমনিই উন্নত একে আর উন্নত না করে দেশের অন্যান্য দিকে মনোযোগ দিন। আর বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে শুরু করে সব কিছু ভাগ ভাগ করে দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে নিন। তাহলে দূষণ কমবে।
Total Reply(0)
ELMAY A JILANI ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৫৭ এএম says : 0
for safety of air pollution in our country . 1. Mask must be put on. 2. Avoid crowed area unnecessary time. 3. Keep distance from man to man during working. 4. Increase Tree Plantation to fresh oxygen 5. Use water to clean the dust. 6. Use and deployed more and more cleaner to clean the city and roads, Established cleaner org privately to clean some area as per their contact or privately. 7. Clean the bus terminal, rail station, market, others area from 2 pm to 05 am daily with the detergent. 8. cleaning vehicle, water vehicle starting clean the area. 9. Check the govt office area of cleanness for update. 10. Govt official team deployed the observe cleaning situation. school college university area cleanness well kept. 11. Reduce smoking, smoking company help to clean the city and area
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন