নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে এমপি পত্মীর ছবি ‘বিকৃত’ করে ফেসবুকে দেয়ার অভিযোগে নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসনুভা রহমান মিতুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের কানাইখালী এলাকার নিজস্ব বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে নাটোর সদর থানায় পৌর যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাইম হোসেন উজ্জল বাদী হয়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, শহরের কানাইখালি এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের মেয়ে গ্রেফতারকৃত সহকারী শিক্ষিকা তাসনুভা রহমান গত ৬ ফেব্রুয়ারি নাটোর-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুলের ফেসবুক আইডি থেকে আপলোড করা তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা সুমির ছবি ‘বিকৃত’ করে আপত্তিকর মন্তব্যসহ ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রবিউল ইসলামের আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং আগামী ৩১ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় তার পক্ষে কোন আইনজীবী আদালতে হাজির না থাকলেও তার বিপক্ষে অ্যাডভোকেট আলেক শেখ উপস্থিত থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন। আটক সহকারী শিক্ষিকা তাসনুভা রহমানের ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়, তিনি সেলোয়ার কামিজ পরা একজন নারীর গলা পর্যন্ত একটি ছবি দিয়ে তার নিচে লেখেন, জিন্স পরলে দোষ. শাড়ি একটু গুছিয়ে পরলে দোষ, সালোয়ার কামিজ পড়ে যেন সতিপনা দেখায়। জিন্স পরা মানুষের দূর্নাম করতে পারলে সবাই ভাবে যেন সোয়াবের কাজ করেছে। অথচ এমন সালোয়ার কামিজের চাইতে জিন্স ফতুয়া কারো শরীর এমন কুৎসিত ভাবে উপস্থাপন করে না। কারাগারে নেয়ার সময় আটক সহকারী শিক্ষিকা তাসনুভা রহমান সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন