শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনার পিছু তাড়া করছে একটা বুলেট : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অস্ত্র নিয়ে গুলিস্তানে মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। কখনো কখনো মনে হয়, একটা বুলেট আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিছু তাড়া করছে। একবার ভাবুন, যদি শেখ হাসিনা না থাকেন, উন্নয়নের কী হবে। কী হবে দেশের সমৃদ্ধির, এই জাগৃতির। বাংলাদেশ থমকে দাঁড়াবে। গতকাল সোমবার মোহাম্মদপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাস্থলে প্রবেশের মুখে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে ও ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে বরণ করেন। এ সময় ওবায়দুল কাদেরের নামে তাঁরা সেøাগানও দেন। নিজের বক্তৃতার সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ফুলের মালা দেখেছি। অনেক পুষ্পস্তবক দেখেছি। এখন আর ফুলের দরকার নেই। ফুল সাজিয়েছিলাম ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। পাঁপড়িও প্রস্তুত ছিল...ভালোবাসার শ্রদ্ধার ফুল ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ে রক্তাক্ত হয়ে গেল। রক্তাক্ত হলো মানচিত্র। তারপর ফুল দেখলে ভয় পাই।
সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া দলের জাতীয় সম্মেলন স্বতঃস্ফূর্ত ছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আর দলে কোনো হতাশা নেই। আর ফুল নয়, কথা নয়। সবাই কাজে নেমে পড়ুন। জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। যারা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেছেন, মাঝেমধ্যে করেন, কিছু কিছু অপকর্ম করেছেন প্লিজ, সংশোধন হোন। নতুবা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কতিপয় নেতা-কর্মীর ও জনপ্রতিনিধির জন্য নেত্রীর অর্জন মøান করতে দেব না। সরকার ও দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হোক এটা হতে দেব না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পত্রিকায় যে দুই ছাত্রলীগ নেতার হাতে অস্ত্র নিয়ে গুলিস্তানে মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদেরকে শুধু শো-কজ আর বহিস্কার নয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। ইতোমধ্যে এর প্রমাণ কিছুটা পেয়েছেন। সম্মেলনের পর এটাই প্রথম অ্যাকশন, অপেক্ষা করুন। দল করলে নিয়ম মেনে চলতে হবে।
দলের জাতীয় সম্মেলনের পর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হতাশ হবেন না। কমিটমেন্ট নিয়ে লেগে থাকলে পুরস্কৃত হবেন। এর বড় প্রমাণ আমি ওবায়দুল কাদের...আমি বিশ্বাস করি, আমার ভাগ্যের চেয়ে বেশি কিছু পাব না। আর সময়ের আগে হবে না। ভাগ্য যখন অনুকূলে ও সময় যখন এসে যাবে, তখন পুরস্কার পাবেন।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতার শুরু থেকেই অনেকগুলো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা চালু হয়ে ওঠে। তিনি বক্তৃতা করতে ডায়াসে এলে অনুসারীদের একটি অংশ তার পেছনে অবস্থান নেন। বক্তৃতার শেষের দিকে তিনি সবাইকে তাড়িয়ে দেন এবং একপর্যায়ে মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেন। এ সময় তিনি বলেন, টিভিতে নিজের চেহারা দেখানোর জন্য এভাবে দাঁড়িয়েছে। টিভিতে দেখা গেলে এলাকায় গিয়ে বলবে, আমাকে কি দেখেছ? এটা চলবে না। একটা ডিসিপ্লিনে আসতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Add
রেজবুল হক ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:২৭ এএম says : 0
যারা ভালো কাজ করবে তাদের শত্রু থাকবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি ?
Total Reply(0)
সুলতান ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:২৭ এএম says : 0
আমরা বীরের জাতি, আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না।
Total Reply(0)
Mizan ১ নভেম্বর, ২০১৬, ২:২০ পিএম says : 1
apner kothagulor bastobayoun hole doler popularity barbe
Total Reply(0)
জেসমিন ১ নভেম্বর, ২০১৬, ২:২১ পিএম says : 0
মনে হচ্ছে পারফেক্ট লোককেই সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ