পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ তথ্য জানিয়েছেন, বেঞ্চটির ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।
এর আগে গত বছর ৬ ডিসেম্বর পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছেÑ তা জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ প্রেক্ষিতে এর মধ্যেই দুদক পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা পৃথক দু’টি প্রতিবেদন জমা দেয়।
গতকাল বিএফআইএইউ তালিকা সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিল করল। এ তালিকায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, তাদের ছেলে তাবিথ আউয়াল, মাল্টিমোড লি:, তাফসির আউয়াল, তাজওয়ার মো. আউয়াল, মোগল ফরিদা ওয়াই, শহিদ উলাহ, চৌধুরী ফয়সাল, আহমাদ সামির, মুসা বিন শমসের, ফজলে এলাহী, কেএইচ আসাদুল ইসলাম, জুলফিকার আহমেদ, তাজুল ইসলাম তাজুল, মোহাম্মদ মালেক, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ এ আউয়াল, ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, তাজুল ইসলাম, আমানুলাহ চাগলা, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, মোহাম্মদ রেজাউল হক, মোহাম্মদ কামাল ভুইয়া, তুহিন-সুমন, মাহতাবা রহমান, ফারুক পালওয়ান, মাহমুদ হোসাইন এবং শাহনাজ হুদা রাজ্জাক।
এর আগে দুদক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তালিকা দাখিল করে। এর মধ্যে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, সেতু করপোরেশনের পরিচালক উম্মে রুবানা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিডবিউএন (এ) আজমত মঈন, বনানীর সালমা হক, এস এম জোবায়দুল হক, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার সৈয়দ সিরাজুল হক, ধানমন্ডির দিলীপ কুমার মোদি ও শরীফ জহির, গুলশানের তারিক ইকরামুল হক, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা, পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, পরিচালক আহমেদ ইসলাইল হোসেন এবং পরিচালক আখতার মাহমুদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন