টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য কড়া লকডাউন জারি ছিল অস্ট্রিয়ায়। এবার তা-ও তুলে দেওয়া হলো।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহ্যামার জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা তার মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন লকডাউন করে রেখে বিশেষ লাভ হবে না। সে কারণেই টিকা যারা নেননি তাদের জন্য ঘোষিত লকডাউনও এবার তুলে দেওয়া হলো। তবে টিকাহীন ব্যক্তিরা রেস্তোরাঁয় যেতে পারবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া অন্য জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু তারা বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন।
চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হচ্ছে, দেশে করোনার সংক্রমণ তখন বাড়ছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়লেও তা ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে না। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা ফাঁকা আছে। আইসিইউ-তেও যথেষ্ট জায়গা আছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন ঢেউয়ে মানুষ সংক্রমিত হলেও খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছেন না। সে কারণেই লকডাউন পুরোপুরি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, সাম্প্রতিক ঢেউয়ে অস্ট্রিয়াই প্রথম কড়া লকডাউনের ঘোষণা করেছিল।
লকডাউন তুলে নিলেও অস্ট্রিয়াই প্রথম দেশ, যারা করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে আইন পাশ করেছে। সাবালক সকল ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনার টিকা নিতে হবে। এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ সপ্তাহান্তে এর বিরুদ্ধে সমাবেশ করছেন। কিন্তু চ্যান্সেলর জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না। টিকা নিতেই হবে। আগামী মাস থেকেই টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারের আশা, বিক্ষোভ-সমাবেশ হলেও শেষপর্যন্ত মানুষ টিকা নেবেন।
এদিকে বেইজিংয়েও নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তারই মধ্যে সেখানে শুরু হতে চলেছে ২০২২ সালের উইন্টার অলিম্পিক। অলিম্পিকের ঠিক আগে যেভাবে সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে চিন্তায় কর্মকর্তারা। আদৌ শেষপর্যন্ত অলিম্পিকের আয়োজন করা যাবে কি না, তা নিয়েও কোনো কোনো মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন