সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৩ এপ্রিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে.এম. ইমরুল কায়েশ এ তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেন। গতকাল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ থাকলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় এ তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেন আদালত।
গত ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা সম্পদ অর্জন করে তা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে ৩ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান।
পরে তিনি প্রভাব খাটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি ৫ কাঠায় উন্নীত করান। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১/এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান। বরাদ্দ প্রাপ্তির পর সিনহা প্লটটি তার আত্মীয় শঙ্খজিৎ সিংহকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, রাজউকের প্লটের মূল্য ৭৫ লাখ টাকা ও ভবনের নির্মাণে ব্যয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকাসহ সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে জনৈক খালেদা চৌধুরীর কাছ থেকে ভবনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা নেয়া হয়। এই টাকা বাদে অবশিষ্ট ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা এবং আত্মীয় শঙ্খজিৎ সিংহের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী ও নগদে ৭৮ লাখ টাকা জমা পাওয়া গেছে। এস কে সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভাই ও আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন