কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ জাপানের টোপিক্স সূচক ৫ শতাংশ নেমেছে। ২০০৮ সালের পর থেকে টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন ঘটে গত সপ্তাহে। হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে, যা ২০১২ সালের জুনের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ ক্লোজিং। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসডাক এক্সচেঞ্জে দিনের শুরুতে ট্রেডিংয়ে ৮ শতাংশের বেশি পতন ঘটলে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। খবর বøুুমবার্গ। বৈশ্বিক ইকুইটি বাজারে পতনের পাশাপাশি ইয়েনের চাঙ্গাভাবের কারণে জাপানের ট্রেডিং ফ্লোরগুলোয় ছিল আতঙ্ক ও উদ্বেগের দিন। ফাউন্ডেশন ডের ছুটি শেষে লেনদেন শুরু হলে কয়েক ঘণ্টায় টোপিক্স সূচক ৫ দশমিক ৪ শতাংশ নেমে যায়। এ নিয়ে গত সপ্তাহে টোপিক্স মোট ১৩ শতাংশ পতন দেখল, যা ২০০৮ সালের পর থেকে এক সপ্তাহে সবচেয়ে বড় পতন। নিক্কেই ২২৫ স্টক এভারেজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। জাপানের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশি দরপতন ঘটছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্রোকারেজ হাউজের শেয়ার মূল্যে। ইয়েনের চাঙ্গাভাব জাপানের শেয়ারবাজারে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। ১৫ মাসে ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রাটি বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। নমুরা হোল্ডিংসের সিনিয়র স্ট্র্যাটেজিস্ট জুইচি ওয়াকো বলেন, সবকিছুর কেন্দ্রে অবস্থান করছে ডলার-ইয়েন বিনিময় হার। কারণ বর্তমানে পুঁজিবাজারের নেতৃত্ব চলে গেছে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে। আমরা মুদ্রার বদান্যতায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ব্যাংক অব জাপান শিগগিরই পুঁজি ও মুদ্রাবাজারের হাল ফেরাতে উদ্যোগী হবে। ২০১১ সালের পর থেকে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইয়েনের বিনিময় হারে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে হতাশার প্রভাবে হংকংয়ের শেয়ারবাজারে সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্য হারিয়েছে এইচএসবিসি হোল্ডিংস। দুদিনে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্য হারিয়ে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর ব্যপারে আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এইচএসবিসি। হ্যাংসেং সূচকে সবচেয়ে বেশি মূল্যের শেয়ার টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের। টেনসেন্টের শেয়ারদর ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পর্যবেক্ষকরা হংকং শেয়ারবাজারে দ্রæত উন্নতির কোনো আশা দেখছেন না। হুয়ারং ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জ্যাকসন ওং বলেন, বিশ্বজুড়ে আস্থায় চিড় ধরেছে। সবার পতন হলে আমরাও থিতু থাকতে পারব না। শেয়ারবাজারকে সামনে ঠেলার মতো শক্তিশালী কোনো উদ্দীপক এখানে নেই। দক্ষিণ কোরিয়ায় ছোট কোম্পানিগুলোর এক্সচেঞ্জ কোসডাকের সূচক দিনের শুরুতেই ৮ দশমিক ২ শতাংশ নেমে যায়। এ কারণে সাময়িকভাবে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। দিন শেষে সূচকটি পূর্ববর্তী দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশ নিচে ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন