আটককৃত ভায়াগ্রার চালান ছেড়ে দেয়ার জন্য অব্যহতভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমানকে। আন্তর্জাতিক একটি মাদক চক্র কমিশনারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুরু করেছে নানা ষড়যন্ত্র। গতকাল রোববার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান।
কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় ভারত থেকে আমদানি করা ৩০১ প্যাকেজের মোটর পার্টসের চালানে ২২ কেজি ভায়াগ্রা আমদানি করেন যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মা মনি’ এন্টারপ্রাইজ। যার আমদানি মূল্য ১২ হাজার ৭৮০ মার্কিন ডলার। যার এলসি নম্বর -০৮৮৬২১০১০৩৫৬। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমসের আইআরএম টিম পণ্য চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে মোটর পার্টসের চালানে ঘোষণা বহির্ভূত ২২ কেজি ভায়াগ্রা আটক করে। আটক পণ্যের মূল্য ১১ লাখ টাকা। পরবর্তীতে কাস্টমস কমিশনারের নির্দেশে ভায়াগ্রার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। পরীক্ষায় ভয়াগ্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে গত বছরের জুলাইয়ে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কারণ দর্শানো নোটিশ জারির পরপরই একটি চক্র কমিশনারকে ভায়াগ্রার চালানটি ছেড়ে দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কমিশনার তাদের চাপে কোন কর্ণপাত না করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পরপরই মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি কমিশনারকে হুমকি প্রদান করে। অনলাইনে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে নানা ধরনের অপপ্রচার শুরু করে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে কমিশনার আজিজুর রহমান জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় তাকে নানাভাবে হয়রানি করার জন্য একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি ইতোপূর্বে বড় ধরনের বেশ ক’টি অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করায় তাকে সমাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভায়াগ্রার চালান আটকের বিষয়টি ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। হুমকি দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার দিন শেষ। বেনাপোল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈধ আমদানি ও সৎ করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর। বিদ্যমান আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ পরিমাণ রাজস্ব আদায় ও দ্রুত পণ্যচালান খালাসে সবার সহযোগিতা চাই। করোনাকালেও আমাদের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সরকারের রাজস্ব আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন