বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ

শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি : শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কনকনে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকায় ১৩ দশমিক ০, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ১২ দশমিক ৫, সিলেটে ১১ দশমিক ৯, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৬, রংপুরে ৯ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ০ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধারণ করা হয়। তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে তীব্র শীত পড়েছে। গতকাল রোববার আবহাওয়া অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ও জাতীয় পাটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছে।

গতকাল রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সর্ব-উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামে ছিল ৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকায়ও পারদ ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অধিকাংশ স্থানে রাত থেকে ভোর-সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ ৭ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। এরফলে দিনের পারদও হ্রাস পেয়েছে। কমেছে সূর্যের তাপ।

টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটি, ফেনী, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা, সীতাকুন্ডসহ রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এদিন সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এদিন তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে তীব্র শীত পড়েছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকায় ১৩ দশমিক ০, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ১২ দশমিক ৫, সিলেটে ১১ দশমিক ৯, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৬, রংপুরে ৯ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ০ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধারণ করা হয়। পরবর্তী তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গতকাল সকাল থেকে ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ।

দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ গতকাল থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় কুয়াশা পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো। অনেক জায়গায় সূর্যের দেখা মেলেনি। রংপুর বিভাগে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করেছে। নৌ চলাচলও বিঘ্ন ঘটেছে। ঘনকুয়াশার কারণে শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। শ্রীমঙ্গল, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং আশপাশের এলাকায় তা বিস্তৃত হতে পারে। তীব্র ঠাণ্ডায় কোথাও কোথাও কোল্ড ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। শীতে সবচেয়ে বেশি ভুগছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঠাণ্ডার কারণে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। মাঠে কাজ করা তো দূরের কথা, দুপুরেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে রাস্তাঘাট। হেডলাইট জ্বালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। নিম্ন আয়ের মানুষ ঠাণ্ডা ও ঘনকুয়াশায় কাজে যেতে না পারায় তাদের আয় কমে গেছে। রংপুরে জেঁকে বসেছে শীত। চরাঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতবস্ত্র না থাকায় তাদের কষ্ট বেড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলেও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার আগেই মানুষ ঘরে ফেরার তাড়া শুরু করে।

আবহাওয়াবিদ মাহবুব রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, যথারীতি পুরো মাঘ মাস পর্যন্ত শীত আবহাওয়া থাকবে। তবে এ শীতের মধ্যেই তাপমাত্রা কখনও বাড়বে, কখনও কমবে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরোর বিশেষ প্রতিনিধি জানান, মাঘ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এসে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শীত ও কুয়াশা আরো বিস্তার লাভ করেছে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয় পাদদেশ ছুঁয়ে আসা হাড় কাঁপানো হিমেল হাওয়ায় উত্তর, পশ্চিম, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম, পার্বত্যাঞ্চলসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় মানুষ জবুথবু।

তীব্র শীতের সাথে গুঁড়িবৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশায় সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে স্বাভাবিক জনজীবনের গতি থমকে গেছে। অনেক স্থানে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, হাঁপানিসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বারে রোগীর ভিড়ও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট-দুর্ভোগ অসহনীয়। সবখানেই শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে কোনোমতে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গরিব, নিম্নআয়ের মানুষজন। প্রচণ্ড শীতের দাপটে দিনমজুর-শ্রমিকদের কাজকর্মের সন্ধানে বাড়িঘরের বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে দেশের বেশিরভাগ জেলায় একটি ‘শীতের বলয়’ তৈরি হয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। প্রায় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা মো. সম্রাট হোসাইন জানান, পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা পঞ্চগড়ে এ মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ এলাকায় হিমালয়ের হিমবায়ু সরাসরি প্রবেশ করায় শীতের তীব্রতাও বেশি থাকে। যার কারণে দেশের মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। মৌসুমের শুরু থেকেই জেলাটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও মৃদুশৈত্য প্রবাহ চলমান রয়েছে। মাঘ মাসের মাঝামাঝিতে সেই শীতের তীব্রতা এবার এখন পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকিয়েছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, উত্তরের হিমেল বাতাশ আর তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে নীলফামারীর জনজীবন। গত তিনদিন ধরে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডার সাথে শুরু হয়েছে মৃদুশৈত্য প্রবাহ। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথ-ঘাট। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষজন। তারা খড়কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে বের হতে পারছেন না। সবচেয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে ডিমলা উপজেলা তিস্তা নদী ঘেঁষা গ্রামগুলোর মানুষজন। গরম কাপড়ের অভাবে সেখানকার দরিদ্র মানুনজন নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আব্দুল আউয়াল জানান শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সিরা।

দিরাই (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার জানান, করোনার জন্য স্কুল বন্ধ, পরিবারে অভাব, তাই ফুল বিক্রি করছি’ এক মুহূর্তেই বলে দিল ১০ বছরের ইয়াছিন মিয়া। দরিদ্র পিতার সাথে সেও তার ১২ বছরের বোন লুৎফা বেগম (১২) একসাথে স্থানীয় দিরাই বাজারে ফুল বিক্রি করছে বলেও জানায়।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউরিয়নের বুরহানপুর গ্রামের দরিদ্র দিলোয়ার হোসেনের ছেলে ইয়াছিন নিজের বাড়ির উৎপন্ন মিষ্টিলাউ, গাছের ফুল বিক্রি করে অভাব-অনটনে থাকা পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে সহযোগিতা করছে। যে বয়সে অন্য ছেলেদের সাথে স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনে থাকার কথা, সে বয়সে পিতার সাথে ধরেছে সংসারের হাল! বর্তমানে স্কুল বন্ধ থাকায় সেই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে ইয়াছিনের মতো অসংখ্য ছোট্ট শিশুরাও। সে আরও জানায়, নিজেদের বাড়ি নেই, চাচার বাড়িতে থাকে এবং তার পিতা চাচার বাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করছে। তার মা জাকিরুন বেগমও সংসারের কাজ সামলে নিয়ে সবজি করার পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। তাদের পরিবারে মা-বাবা, ২ ভাই ও ২ বোনসহ ৬ জনের সংসার। তাই বাধ্য হয়েই তাদের মা সুযোগ করে তাদেরকে দিরাই বাজারে পাঠিয়ে দেয় মিষ্টিলাউয়ের ফুল বিক্রি করতে। ইয়াছিন আরও জানায়, বাড়ি থেকে অনেক দূরে স্কুল হওয়ায় তারা নিয়মিত যায় না। সে ভাঙ্গাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও তার বোন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন