বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাড়ছে তালাকের প্রবণতা

রাজধানীতে নারীদের দিক থেকেই বেশি বিবাহ বিচ্ছেদ ২০২১ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন গড়ে ৩৭টি আবেদন জমা পড়ে

একলাছ হক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

‘আজ দুজনার দুটি পথ/ ওগো, দুটি দিকে গেছে বেঁকে’। পুরনো দিনের এই গানের মতোই রাজধানী ঢাকা শহরে ঘর-সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। সন্তানদের দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে বাবা-মা নিজেদের মতভেদকে অধিক প্রাধান্য দিয়ে দাম্পত্য জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটাচ্ছেন। পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিরতা, ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা, উচ্চাবিলাসী, মতভেদসহ নানা কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে গেছে।

অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় করোনাভাইরাসের এই মহামারি সময়ে ঢাকায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটছে। দুই সিটি করপোরেশনে তালাকের আবেদনের যে চিত্র দেখা যায় তাতে প্রতিমাসে গড়ে এক হাজার ৪২টির বেশি আবেদন জমা পড়ে। এই হিসেবে দেখা যায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫টি তালাকনামা জমা পড়ছে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনে প্রতিমাসে অস্বাভাবিক হারে তালাকের আবেদন জমা পড়ছে। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে তালাকের ঘটনা ১৭ শতাংশ বেড়েছে। পরবর্তীতে প্রতিবছর এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। তালাকের এই চিত্রের বিশ্লেষণ করে দেখা যায় স্বামীর চেয়ে স্ত্রীরাই বেশি ঘর-সংসার ভাঙার পক্ষে।

জানতে চাইলে সমাজ বিজ্ঞানী ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন, ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা, উচ্চাবিলাসী মনোভাবের করণে এখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে কাজ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে দুইজনের মধ্যে অবিশ্বাসের জন্ম নেয়। এতে করে তালাকের মতো ঘটনা ঘটে।

অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, রাজধানীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে তালাকের ঘটনা। এতে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ভেঙে যাচ্ছে সংসার ও পারিবারিক বন্ধন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন। গত বছর বিগত বছরের তুলনায় তালাকের ঘটনা ঘটেছে বেশি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের বরাবর তালাকের আবেদনের সংখ্যাও বাড়ছে। বছরে যে পরিমাণ তালাকের আবেদন করা হয় তার গড়ে ৭০ শতাংশই স্ত্রীদের। স্বামীদের আবেদন কম।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএসসিসিতে তালাকের আবেদন করেছেন ৬ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪২৮টি আবেদন করেছেন নারী বা স্ত্রীরা। এক হাজার ৯১৭টি আবেদন স্বামীদের। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) মোট তালাকের আবেদন করা হয়েছে ৭ হাজার ২৪৬টি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৫২০, ফেব্রুয়ারিতে ৫২৫, মার্চে ৬৫৫, এপ্রিলে ৬০২, মে ৩৬২, জুন ৮৬৬, জুলাই ২৯৪, আগস্ট ৭১২, সেপ্টেম্বর ৮১৪, অক্টোবর ৫৬১, নভেম্বর ৭৫৫ এবং ডিসেম্বরে ৫৮০টি আবেদন করা হয়েছে। স্ত্রী বা নারীরা করেছেন মোট ৫ হাজার ১৮৩টি আবেদন। স্বামীরা করেছেন মোট ২ হাজার ৬৩টি আবেদন। আর মোট আবেদনের সবচেয়ে বেশি আবেদন করা হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে ৮১৪টি। সবচেয়ে কম আবেদন করা হয় জুলাই মাসে ২৯৪টি। এর অধিকাংশ আবেদনই নারীদের বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।

গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় তালাকের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে শিক্ষিত স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে তালাক বেশি হচ্ছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বিবিএসের ‘দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে তালাকের ঘটনা ১৭ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

তালাকের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আগের চেয়ে নারীরা স্বাবলম্বী, স্বাধীন মনোভাব, নারীদের উচ্চ বেতনে চাকরি, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা, নির্যাতন সহ্য না করা এবং প্রতিবাদ করার মনোভাবের কারণে তালাকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে। কোন কোন সংসারে সন্তান থাকা অবস্থায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাকের ঘটনা ঘটে। ওই সংসারের সন্তানটি শিশু অবস্থায়ই অভিভাবক শূন্য হয়ে পরে। এতে করে সে প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠবে। পরবর্তীতে অপরাধী হয়ে সমাজে বেড়ে উঠার আশঙ্কা থেকে যায়।

ঢাকায় বিবাহবিচ্ছেদ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার পেছনে করোনার কারণের তৈরি হওয়া মানসিক, আর্থিকসহ নানামুখী চাপের পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন এবং যোগাযোগ কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারায়ও পরিবর্তন ঘটছে অতিদ্রুত। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। ঢাকায় বিবাহ বিচ্ছেদ করায় পুরুষের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। ঢাকায় গত এক দশকে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এক্ষেত্রে বিচ্ছেদের বেশি আবেদন করছেন শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী নারীরা।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয়, মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ ও জীবনযাপন যখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তখন মধুর সম্পর্ক তালাকের মাধ্যমে ছিন্ন করা হয়। ন্যায়সঙ্গত কারণে তালাক ইসলামে বৈধ। তবে এটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ কাজ। কিন্তু শিক্ষিত ও অভিজাত পরিবারে তালাকের ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও পরিবারগুলোতে তালাক এখন সাধারণ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত ২০২১ সলের হিসেব অনুযায়ী দিনে গড়ে ৩৭টি তালাকের আবেদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে গড়ে ৭০ শতাংশ আবেদন করছেন নারীরা। তালাকের আবেদনে সমঝোতা হচ্ছে গড়ে ৫ শতাংশেরও কম। যতোগুলো তালাকের ঘটনা ঘটছে তার কারণগুলো প্রায় একই। যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, পুরুষত্বহীনতাসহ বিভিন্ন কারণ। অন্যদিকে বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামীরা।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, তালাকের নোটিশ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে তালাকের আবেদন নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে তালাকের আবেদন স্বামী এবং স্ত্রী সিটি করপোরেশনের কোন অঞ্চলে বাস করেন, সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়। পরে আবেদনকারী ও বিবাদী উভয়পক্ষকেই আপসের নোটিশ পাঠান সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)। দুই পক্ষের মধ্যে আপস না হলে সিটি করপোরেশনের আর কোনো দায়িত্ব থাকে না। আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপস বা প্রত্যাহার আবেদন না করলেও তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২০ সালে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসিতে ১২ হাজার ৫১৩টি তালাকের আবেদন করা হয়েছে। অর্থাৎ মাসে গড়ে এক হাজার ৪২টির বেশি, যা দিনে গড়ে ৩৫টি, ঘণ্টায় একটিরও বেশি। ২০১৯ সালে ডিএনসিসিতে তালাকের আবেদন করা হয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি, ডিএসসিসিতে ৬ হাজার ৩৬০টি। এভাবে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে মানসিক চাপসহ সামাজিক এবং পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।

ডিএসসিসি মেয়র বরাবর আবেদন করেন কলাবাগান এলাকার ওয়াফা অনোয়ার নামের এক নারী। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কসহ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে তিনি তালাকের আবেদন করেন। স্বামী মিজানুর রহমানের বিপক্ষে তিনি গত ১৩ জানুয়ারি আবেদনটি করেন।

সায়মা আফরিন লাবন্য থাকেন দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ডিএসসিসির মেয়র বরাবর তালাকের আবেদন করেছেন গত ১৫ জানুয়ারি। তিনিও স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়াসহ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন।

রিনা আক্তার থাকেন যাত্রাবাড়ী এলাকার রায়েরবাগ। গত ১৮ জানুয়ারি ডিএসসিসি মেয়র বরাবর তালাকের আবেদন করেছেন একই কারণ দেখিয়ে। খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকার আকলিমা ও গোড়ান এলাকার আছিয়া বেগম তালাকের আবেদন করেছেন স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়া ও পরনারীর সাথে সম্পর্কের কারণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালাকের আবেদন করা এক নারী জানান, চার বছরের মেয়ে রয়েছে তার সংসারে। স্বামী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। কিন্তু সুখের সংসার রেখে তার স্বামী অফিসের এক কলিগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। বার বার বারণ করার পরও ওই সম্পর্ক ছিন্ন করছেন না। বরং ওই নারীর সাথে সম্পর্ক বাদ দিতে বললে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন। এজন্য তিনি তালাকের আবেদন করেছেন।###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:৫৭ এএম says : 0
নারী জাতি মায়ের জাতি,কিছু দোষে গুনে আছে,কিন্তু নারীদের দোষ নেই,ঋতুকের জন্য অত্যাচার করলেও এরা ঘর ছেড়ে যাবে না,পুরুষরাই এখন 100%এর মধ্যে 95%খারাপ নিশা খোর বাবা জোর মদ খোর নারীরা কত দরয্য ধরতে পারে,তবুও ছেলে সন্তানের মায়ায় অত্যাচার অবিচার মাইল দর খাইয়া সব ভুলে যায়,শেষ পর্যন্ত 100%অত্যাচার হয়ে থাকলে পতি দিন এই ভাবে হলে কিছু আর করার নেই,এই জন্য পুরুষরাই দায়ী নারীরা দোষী হবেন কি জন্য,ঠিক আছে কিছু আছে নাই তা নয়,তবে এরা কি জন্য এই রকম হলেন এদের মা বাবার শাসন ছিল না তাই,যে নারীরা মা বাবার কথা শুনবেন শুনছেন এরা খারাপ হবার কথা নয়।তবে নারীরা দরয্য শীল,দরয্য ধরতে ধরতে কত ধরবেন। শতকরা 95% পুরুষ এখন নিশা করেন,এবং নামাজ পড়ে না এই জন্যই আল্লা পাক এই সমস্ত মছিবত এনে দিয়ে থাকেন।
Total Reply(0)
Nayeemul ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৪২ এএম says : 0
ফেসবুক, ইমো, টিক -টকের মতো সব সোশ্যাল মিডিয়া বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা উচিত। 99% পারিবারিক কলহ এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে। এছাড়াও অনেক ভারতীয় চ্যানেল সর্বদা অনৈতিক জিনিস দেখায় যা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ।
Total Reply(0)
Eleas Mahmud ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৪ এএম says : 0
At first should close the social websites and next parents should teach their child moral lesson. Should stop from too much ultra modern attitude our child.
Total Reply(0)
এস এম ইমরান ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৫ এএম says : 0
সমাধান আগের দিনের দাদা,নানারা দিয়ে গেছেন, এখন সেটা বললে এই সভ্য সমাজে থাকা যাবে না। গ্লোবালাইজেসনের সুবিধা যেমন আছে, তেমনি তার কিছু সমস্যাও আছে। এই সমস্যা হলো তার চূড়ান্ত রূপ। যদিও এটা পশ্চিমাদের জন্য নতুন কিছু না,আমাদের দেশের জন্য নতুন। পশ্চিমারা এটার সমাধান বের করতে পারে নাই,এভাবেই তারা চলছে। তবুও কিছু কমদামি সমাধান আছে বলে আমি মনে করি- ১)স্বামী বা স্ত্রী যেকোন একজন ফুল টাইম জব করবে,অন্যজন পার্ট টাইম করবে বা করবে না,এতে করে সন্তান কাজের বুয়ার কাছে বড় হওয়া থেকে কিছুটা রক্ষা পাবে। ২)যৌতুক আইন সংস্কার করে শাস্তি বাড়ানো ও বাস্তবায়ন। ৩)মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা। ৪)কিছু টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করা(সিরিয়াল বেইজ) ৫)ডিভোর্স এর অন্যতম কারন পরকীয়া যা সহজ করেছে ফেসবুক, ইমু ইত্যাদি । এসব বন্ধ করে দেয়া বা রাত ১২ পর বন্ধ রাখা। ৬)পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে প্রত্যেককে সচেতন ভাবে সম্পর্কগুলো কে পরিচর্যা করতে হবে।
Total Reply(0)
Gazi Yakub ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৫ এএম says : 0
· ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে কথিত টিভিসিরিয়াল বন্ধকরণ, দেশবিরোধী এনজিওদের উস্কানিমূলক স্লোগান নিষিদ্ধতার পাশাপাশি নারীপুরুষ পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরিকরণ, এছাড়া আর কোন পথ দেখছি না
Total Reply(0)
Rokon Roja ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৬ এএম says : 0
নারী আইনী সমর্থন বেশি পাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে পুরুষ বলির পাঁঠা। কোন আইনি সহযোগিতা পায় না। বাবা মাকে দায়িত্বশীল হতে হবে। চাই জনসচেতনতা। বাবা-মায়ের শেল্টার একটি ঘর ভাঙ্গার জন্য যথেষ্ঠ। চাকুরীতে নারী পুরুষ সমতায়ন চাই, এস এস সি পাস করে চাকুরী পেয়ে যাওয়ায় চ্যাটাংচ্যাটাং বেশি করে। পুরুষ নির্যাতন আইন ও দরকার। নারী কিছু খুজে না পেলে নির্যাতনের অভিযোগ আনে, এটা পুরুষ পারে না! নারী পুরুষ কে ছেড়ে দিলে অর্থ দন্ডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
Total Reply(0)
Md Barkat Ullaha ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৬ এএম says : 0
দ্বীন ইসলাম কে যতদিন পর্যন্ত! জীবন বিধান না মেনে নেওয়া হবে! ফ্যামিলিতে কোনদিন ও শান্তি আসবে না! আসতে পারে ও না!
Total Reply(0)
Naeef Ibtisham Riham ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৬ এএম says : 0
উচ্চ শিক্ষিত যেসব নারীরা সারাক্ষণ নারী অধিকার নারী অধিকার বলে চিল্লাই,দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রেই তালাকগুলা বেশি হচ্ছে
Total Reply(0)
Shohag Bhuiyan ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৬ এএম says : 0
মেয়েরা এখন একটা ব্যবসার মত মনে করতেছে এই ডিভোর্স টাকে। এখন সাধারণ কিছু একটা ঘটনা ঘটলে ডিভোর্স দিয়ে দেয় আগে তো মেয়েদের ভিতরে এই ধরনের প্রবনতা দেখি না ।
Total Reply(0)
Golam Sarwour ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৭ এএম says : 0
স্ত্রীর পক্ষে তালাক বেশি হওয়ার কারন হল, একজন মেয়ে/মহিলা চাইলেই যত সহজে তালাক দিতে পারে একজন ছেলে/পুরুষ তা চাইলেই পারে না, শত অশান্তির মাঝেই তাকে থেকে যেতে হয়। একটা ছেলে যদি কোন কারনে তালাক দিতে যায় তাহলে তাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, দেখা যাবে অনেক টাকা পয়সা খরচ করে তালাক দেয়ার পরও শেষে গিয়ে গুষ্ঠিশুদ্ধ যৌতুক আর নারী নির্যাতন মামলায় ফেসে গেছে। আর আমরা উন্নত, শিক্ষিত, আধুনিক হচ্ছি আর ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে, কিছু হলেই ডিভোর্স। আপনি বা যেকোন মেয়ে যদি যেকোন গ্রুপে যেকোন সাংসারিক সমস্যা নিয়ে পোস্ট দেন একটা সাজেশনই পাবেন "ছেড়ে দেন/ডিভোর্স ". ডিভোর্সের এই হার বাড়বেই
Total Reply(0)
Altaf Hossain ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৭ এএম says : 0
তুলনামূলক ভাবে নারীদের সমপরিমাণ পুরুষরাও যদি আইনের সহায়তা পেতো,তাহলে নারীরা পুরুষদেরকে অবহেলাও করতে পারতো না আর তালাকের হারও বাড়ত না !
Total Reply(0)
Sarwer Morshed ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ২:২৮ এএম says : 0
ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি নজর দেয়া!একমাত্র পথ!!বিকৃত সংষ্কৃতি থেকে দুরে থাকা-যেমন: ভারতীয় সিরিয়ালগুলি আধুনিক মেয়েগুলির উপর দারুনভাবে প্রভাব ফেলেছে!অনেকে সিরিয়েলের মতন জীবন শুরু করেছে!অবাক!ব্যাপার হল এগুলিতো বিনোদন মাত্র কিভাবে বিবেগবান মানুষগুলির উপর প্রভাব ফেলতে পারে!! জীবন থেকে নেয়া গল্প ও রুপ দিয়ে সাজাঁনো নাটক কিংবা সিনেমা করা হয়!কিন্তু আসল জীবনটা এমনটা নয়!সত্য মিথ্যা নির্নয়ের ক্ষমতা থাকা চাই!
Total Reply(0)
Md. Abu taher ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:০০ এএম says : 0
At first should close the social websites and next parents should teach their child moral lesson. Should stop from too much ultra modern attitude our child.
Total Reply(0)
Fazle Rabbi ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:১৭ এএম says : 0
মানুষের মধ্যে নৈতিক বাধ্যবাধকতা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে সহ্যশক্তি কমে আসা, সীমালঙ্ঘনের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, ইত্যাদি কারণে পারিবারিক কাঠামো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এখন মানুষকে মেজার করে টাকার মধ্যে দিয়ে, অর্থাৎ মানুষ, মানুষকে ভোগ্যপণ্য বানিয়ে ফেলেছে। সংপাত্রে কন্যা দান না করে এখন, ধনী পাত্রে কন্যা দান করতেই ব্যস্ত পরিবার। তাছাড়া জয়েন্ট ফ্যামিলি ভেঙ্গে ছোট ছোট ফ্যামিলিও হওয়ার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ ত্বরান্বিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো, অন্যতম কারণ। মানুষের মধ্যে ত্যাগবাদী চিন্তা লোপ পেয়ে ভোগবাদী চিন্তা যত বেশি প্রকট হচ্ছে, সামাজিক অবক্ষয় গুলোও তত বেশি প্রকট হচ্ছে। আমাদের নৈতিক ভাবে সৎ হতে হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন