শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অসম প্রেমের কারণে খুন হয়েছে কলেজ ছাত্রী মনিরা

প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিচার দাবিতে মানববন্ধন
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : পাওয়ারলুম শ্রমিকের সাথে অসম প্রেমের কারণে পারিবারিক নির্যাতনে নিহত মনিরা সরকার হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা গতকাল মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাহবুব আলী চৌধুরী, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল হক, কো-অডিনেটর মোঃ আরিফুর রহমান, কলেজের শিক্ষক কবির হোসেন, আরাফাত খান, ছাত্র দেলোয়ার হোসেন ও উম্মে হাফসা। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, একই গ্রামের মো: খোরশেদ আলমের কন্যা নরসিংদীর ইমপিরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মনিরা সরকার ওরফে চুষনীর সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার পুত্র পাওয়ারলুম শ্রমিক নোবেল মিয়ার বিবাহ-পূর্ব অসম প্রেম ছিল। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে মনিরা সরকারের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন নোবেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। এই অসম প্রেম কোনোক্রমেই তারা মেনে নিবে না। কিন্তু মনিরা তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি।
গত ২৪ অক্টোবর রাতে এই অসম প্রেমের ঘটনা নিয়ে মনিরা সরকারের অভিভাবকরা তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের শারীরিক নির্যাতনের মাত্র বেড়ে গেলে মনিরা সেদিন রাতেই মারা যায়। এই অবস্থায় অভিভাবকরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মনিরার লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু পরের দিন (মঙ্গলবার) আবার তার লাশ বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি জমিতে গর্ত করে পুঁতে রাখে।
এক পর্যায়ে মনিরার বড় বোন খাদিজা আক্তার স্বীকার করে যে, মনিরার লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি শিবপুর থানা পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত মনিরার লাশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ মনিরার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ মনিরার পিতা খোরশেদ আলম ও তার বড় ভাই সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর, দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে নিহতের পিতা ও ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন