অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য, ওষুধ, আইটি, আইসিটি খাতে আরও বিনিয়োগে ব্রিটেন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফররত ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক ডেভিড কেনেডি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বড় অংশীদার। যুক্তরাজ্যের বাজারে অস্ত্র ছাড়া সব ধরনের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে এবং অনেক ক্ষেত্রে এই সুবিধা আরও বাড়বে। ব্রিটেন বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য, ওষুধ, আইটি, আইসিটি খাতেও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রী জানান, বৈঠকে ডেভিড কেনেডি ও অ্যালিসন ব্লেক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্রিটেনের এই কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেছি যে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। ব্রিটেনের জাতীয় ক্রিকেট দল এক মাস অবস্থান করে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছে এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং অভ্যর্থনায় তারা মুগ্ধ।
তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভাল। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করেছেন। আজকে ডিএফআইডি বাংলাদেশ সফরে এলেন। এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই ভালো।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বিদ্যমান শিল্পনীতিতে তারা মুগ্ধ। এ কারণে তারা যদি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আলাদা ইকোনোমিক জোন করে দেয়া হবে। সেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা তারা পাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনির দাম বাড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে অপরিশোধিত চিনির দাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের আগের কম দামে চিনি কেনা আছে বলে চিনির দাম বাড়েনি। আমরা তাদের দাম না বাড়াতে অনুরোধ করেছিলাম। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব এখানে পড়েনি।
লবণের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আড়াই লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছি যার দেড় লাখ টন এসে গেছে। আগামী অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বাকি এক লাখ টনও চলে আসবে। একই সঙ্গে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে আমাদের দেশীয় লবণ উৎপাদনও শুরু হবে। তাই অচিরেই লবণের দাম কমবে। ডেভিড কেনেডি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। কৃষিজাত পণ্য, ওষুধ, চামড়া আইসিটি খাতে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন