শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হাতিয়ে নিয়েছে ৬৮ কোটি টাকা

তানহা সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীরা প্রতারণার শিকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর ৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তানহা সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীরা। তাদের এই অর্থ ফিরে পেতে প্রায় তিন মাস ধরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
তানহা সিকিউরিটিজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন ফখরুল ইসলাম। এসময় বিনিয়োগকারী মজিবুর রহমান এবং রওশন আরা উপস্থিত ছিলেন। ফখরুল ইসলাম বলেন, তানহা সিকিউরিটিজের মালিক ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়। বিএসইসি সিকিউরিজটির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেয়ার পর আমরা সিডিবিএলে যোগাযোগ করে জানতে পারে আমাদের হিসাবে কোনো শেয়ার নেই।

ফখরুল ইসলাম বলেন, তানহা কর্তৃপক্ষ আমাদের দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে। ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য আমাদের এসএমএস ও মেইলে প্রেরণ করতো। এ কারনে আমারা তাদের জালিয়াতি বুঝতে পারিনি। সিকিউরিটিজ হাউজটির মালিকসহ তার দুই বোন প্রায় শতকোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিনিয়োগকারীদের আবেদন ছাড়া কিভাবে সিডিবিএল মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করল। বিএসইসি এবং ডিএসইর মনিটরিংয়ের অভাবে আমরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিক মতো মনিটরিং করতো তাহলে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটত না।

তানহা সিকিউরিটিজের মালিক ডা. হারুন বিনিয়োগকারীদের এই অর্থ আত্মসাত করেছেন অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, যতদ্রুত সম্ভব তাকে বিচারের আওতায় এনে আমাদের টাকা ও শেয়ার ফেরতের উদ্যোগ নিতে বিএসইসির চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।

বিএসইসি চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ করে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ফখরুল ইসলাম বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব আমাদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমাদের শেষ সম্বলটুকু এখানে বিনিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু আমরা এখন সবই হারালাম। আমাদের বাঁচান, পুঁজিবাজারকে বাঁচান। না হলে দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। এমন কি যেখানে অর্থের নিরাপত্তা থাকবে না, সেখানে মানুষ বিনিয়োগ করবে না। দেশের পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন