ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় দেশটির উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশ্ন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলোতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পদ্ধতি (মাল্টিপল কুয়েশ্চেন) চালু ছিল। কিন্তু অনেকদিন ধরে দেশটিতে এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকার প্রেক্ষিতে গত বছর সব রাজ্যের শিক্ষাবোর্ডের কর্তারা সম্মিলিত বৈঠক করেন এই পদ্ধতির ভবিষ্যত নির্ধারণে। সেই বৈঠকের পরামর্শ অনুযায়ী ভারত সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নতুন আরেকটি কমিটি করে দিয়েছে। এই কমিটি বহুনির্বাচনী পদ্ধতি বাতিল করে কিভাবে নতুন প্রশ্নপত্র সাজানো হবে তা নিয়ে কাজ করবে। মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় অবশ্য আগেভাগেই জানিয়েছে, নতুন প্রশ্নপত্রে বর্ণনামূলক প্রশ্নের প্রাধান্য থাকবে। এবং তত্ত্বগত এবং ব্যবহারিক প্রশ্নের অনুপাত থাকতে ৩০ঃ৭০ হারে। অর্থাৎ, ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০টি নম্বর তত্ত্বগত প্রশ্নের জন্য থাকলে ৩০ নম্বর থাকবে ব্যবহারিকের জন্য। কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন এবং সারা দেশে একটি সম্মিলিত প্রশ্নপত্র তৈরির জন্যে কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশেও একই রকম বহুনির্বচনী পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সব পর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সময়। এ নিয়ে অবশ্য বোদ্ধা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ জন্য ভারতের নতুন সিদ্ধান্তকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন