বিদেশগামী কর্মীদের স্বার্থে অবিলম্বে এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করুন। মধ্যপ্রাচ্যগামী টিকিটের মূল্য তিনগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকিটে কিনতে কর্মীদের গলদঘর্ম পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা রিয়াদ রুটের ওয়ানওয়ে টিকিট এক লাখ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অভিবাসন ব্যয় হু হু করে বাড়ছে। বিমানের টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে জেহাদ ঘোষণা করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাতে নয় পল্টনস্থ একটি হোটেলে বায়রা সচেতন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বায়রার সাবেক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরামের সদস্য সচিব ও বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টোয়াবের সভাপতি ড. মামুন আশরাফী, সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরামে আহবায়ক মো. মোশাররফ হোসেন, বায়রার সাবেক ইসি সদস্য লিমা বেগম, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, আবাবিল হজ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আবু ইউসুফ, মো. কামাল উদ্দিন, শেখ শিউলী, কাজী মো. আব্দুর রহিম, মো. মনিরুজ্জামান,ডি এম এমদাদুল হক ও সাজ্জাদ হোসেন। মতবিনিময় সভায় সচেতন আটাব গণতান্ত্রিক ফোরাম, সচেতন টোয়াব গণতান্ত্রিক ফোরাম ও সচেতন হাব গণতান্ত্রিক ফোরামের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির দরুন বিদেশগামী কর্মীরা অর্থনৈতিকভাবে সর্বশান্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে ত্রিশ পয়ত্রিশ হাজার টাকার ওয়ানওয়ের টিকিট এখন ৮০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকার বেশি মূল্যে বিক্রি করছে। টিকিটের টাকা যোগাতে বিদেশগামী কর্মীরা ঋণ, ভিটেমাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। তারা বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত রাখা এবং বিমানের টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে জেহাদ ঘোষণা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বায়রার সাবেক নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। তিনি জনশক্তি রফতানি খাতের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সকল বায়রা সদস্যদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন