কর্পোরেট রিপোর্টার : আরো পোশাক কারখানার সঙ্গে সবধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করল অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স। সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতার অভিযোগে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক দুই ক্রেতা জোট ইউরোপের অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ এবং উত্তর আমেরিকা অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি এ সর্ম্পক ছিন্ন করল। এ নিয়ে দুই জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৫টিতে। অ্যালায়েন্স সবচেয়ে বেশি তথা ১০৪টি কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। অ্যাকর্ড সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাকি কারখানাগুলোর সঙ্গে। এসব কারখানা দুই জোটের কোনো ক্রেতার রফতানি আদেশ পাবে না। অর্থাৎ, কার্যত এসব কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে সংস্কারে ব্যর্থ কারখানার নাম, তালিকাসহ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ না করতে বিজিএমইএর অনুরোধ না রাখায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের নেতারা। বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, দুই জোটের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে এ বিষয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জোটের প্রতিনিধিরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে তাদের আশ্বাস দিলেও তারা কথা রাখছে না। সর্বশেষ অ্যালায়েন্সের তালিকা থেকে বাদ পড়া কারখানাগুলো হচ্ছেÑ রাজধানীর গে-ারিয়ার সজীব ফ্যাশন ওয়্যার, গাজীপুরের কাশিমপুরের ডানা সোয়েটার, আশুলিয়ার উসিউ ফ্যাশন, টঙ্গীর স্টোফাটেক্সট ফ্যাশনস, আশুলিয়ার উচিও ফ্যাশন। বাদ পড়া চট্টগ্রামের কারখানাগুলো হচ্ছেÑ কর্ণফুলী ইপিজেডের লিজেন্ড টেক্সটাইল, ট্রেনডেক্স ও এইচএসএস রোডের বনলতা গার্মেন্ট। অন্যদিকে, অ্যাকর্ডের তালিকা থেকে বাদ পড়া চার কারখানা হলো আশুলিয়ার হ্যান অ্যান্ড হ্যাটস ক্যাপস, টঙ্গীর ক্যানটো এশিয়া, গাজীপুরের সুরাবাড়ির ড্যানিস নিট ওয়্যার ও আশুলিয়ার হ্যানওয়েন লিমিটেড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন