কর্পোরেট রিপোর্টার : টানা দর বাড়ছে ডরিন পাওয়ারের। এ সময়ে দাম বেড়েছে সাড়ে ৫৪ টাকা। ১৩ অক্টোবর কেনাবেচা হয়েছিল ৬৯ টাকা ২০ পয়সায়। রোববার সর্বশেষ লেনদেন মূল্য ছিল ১২৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিন একপর্যায়ে ১৩০ টাকাতেও কেনাবেচা হয়। চলতি মাসের শুরুতে ২ অক্টোবর তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৬৮ টাকা ৮০ পয়সা। এমন অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে আলোচিত ছিল বিদ্যুৎ খাতের এ কোম্পানি। এবার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমসের শেয়ার লেনদেনে কোনো অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি-না, তা যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দুই সদস্যের এক তদন্ত কমিটি। এক মাসে কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার নিয়মিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে কমিটিকে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপপরিচালক মস্তারী জাহান ও শামসুর রহমান। ডরিন পাওয়ারের চমকের শুরু ১৬ অক্টোবরের পর থেকে। ওই সময় থেকে ক্রমে দাম বাড়তে থাকে এ শেয়ারের। ২৩ অক্টোবর কোম্পানিটির ২০১৫ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা ও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। এ কোম্পানির দুটি সহযোগী কোম্পানি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করায় চলতি প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩৬ পয়সা, যা চলতি বছরের একই সময়ে ২ টাকা ২২ পয়সায় উন্নীত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন