ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানে একটি জাহাজভাঙা শিল্প এলাকায় পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ১৭ জন। গাদানি জাহাজভাঙা শিল্প এলাকায় এ বিস্ফোরণে আহত হয়েছে প্রায় ৬০ জন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ১৭টি লাশ উদ্ধার করেছেন। কিন্তু সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় মারা গেছেন ১৬ জন। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার লাসবেলা জুলফিকার আলী শাহ বলেছেন, আমাদের কাছে ১৬ জনের নিশ্চিত মারা যাওয়ার খবর আছে। ডন অনলাইনের এক খবরে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৩০ জন অজ্ঞাত রয়েছে। বেশ কয়েকজন জাহাজের ভেতরে আটকা পড়েছে। অনেকে ঝাঁপ দিয়ে সাগরে পড়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সানাউল্লাহ জেহরি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আহতদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেবা থেকে যৌথ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আকবর হারিফা জানিয়েছেন, তেলবাহী পুরোনো ট্যাংকারে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুর্ঘটনা হয়। এ থেকে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। এর আগে খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বেলুচিস্তান প্রদেশের লাসবেলা জেলার গাদানি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের এ ঘটনায় আরো ৫৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ডন। লাসবেলার ডেপুটি কমিশনার বলেছেন, শিপইয়ার্ডটিতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পেয়েছি আমরা। স্থানীয় হাব শহর পুলিশের ডেপুটি সুপার নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কর্মীদের দেয়া তথ্যমতে ঘটনার সময় জাহাজটিতে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। অন্তত ৩০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেকে জাহাজটির ভেতরে আটকা পড়েছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকে জাহাজ থেকে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ রক্ষা করেছেন। গ্যাস ঝালাইয়ের কাজ চলার সময় হঠাৎ করে জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে। পরপর প্রায় আটটি বিস্ফোরণ ঘটে। আরো বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আটকে পড়া ও আহতদের উদ্ধারে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয়সংখ্যক উদ্ধারকারী নেই এবং উপস্থিত দমকলের একটিমাত্র অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন