শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ওমিক্রনের জন্ম ইঁদুরের দেহে!

দাবি চীনের একদল বিজ্ঞানীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ইঁদুরের দেহে জন্ম হয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। আর এমন দাবি করেছেন চীনের একদল বিজ্ঞানী। গবেষণাপত্রে তথ্যপ্রমাণ-সহ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানুষের দেহ থেকে ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করেছিল ভাইরাসটি। তারপর সেখান থেকে ফের মানবদেহে সংক্রমিত হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ঘটে যায় একাধিক মিউটেশন।

করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে ওমিক্রনের চরিত্র বেশ অন্য রকম। প্রথম থেকেই সেটা স্পষ্ট। এর মারণ ক্ষমতা কম হলেও সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক। ইতোমধ্যেই ওমিক্রনের একাধিক সাব-ভ্যারিয়েন্টও পাওয়া গেছে। গবেষণাপত্র ‘বায়োসেফটি অ্যান্ড বায়োসিকিয়োরিটি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

এমন এমন মিউটেশন দেখা গেছে ওমিক্রনে, যা আগে কোনও নমুনায় মেলেনি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ওমিক্রনে এমন পাঁচটি মিউটেশন দেখা গেছে, যা ইঁদুরের ফুসফুসে পাওয়া ভাইরাসের নমুনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এই গবেষণাটি করেছেন তিয়ানজিনের নানকাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা। ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি মিউটেশন ঘটতে দেখা গেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই অন্যান্য স্ট্রেনে মিলেনি।

ওমিক্রনের জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে। মূলত তিনটি তত্ত্ব শোনা গেছে। একটিতে বলা হয়েছে, কোনও ইমিউনোকমপ্রোমাইজড (সম্ভবত এইডস রোগী) ব্যক্তির দেহে ওমিক্রন তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় তত্ত্বে বলা হয়েছে, কোভিড রোগীদের শরীরেই সকলের অলক্ষে মিউটেশন ঘটে এটি তৈরি হয়েছে। যদিও বেশির ভাগ গবেষণার এই তথ্য খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় তত্ত্বে দাবি করা হয়েছে, মানুষের দেহে সংক্রমণকারী কোনও করোনা স্ট্রেন প্রাণিদেহে ঢুকে কয়েক দফায় মিউটেশন ঘটিয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করেছে।
চীনেরই কিছু বিজ্ঞানী আবার জানিয়েছেন, তারা একটি কৃত্রিম অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন, যা রুখে দিতে পারে সার্স-কোভ-২-র ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে।

সাংহাইয়ের ফিউডান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা সম্ভবত কৃত্রিম অ্যান্টিবডি তৈরির একটি ‘রন্ধন-প্রণালী’ খুঁজে পেয়েছেন। যা ওমিক্রনকে রুখতে পারবে। অন্য একটি রোগ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা বিষয়টির সন্ধান পান বলে জানিয়েছেন, প্রধান বিজ্ঞানী হুয়াং জিংগে।
‘বায়োআরএক্সআইভি’-এর প্রিপ্রিন্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। তিনি জানিয়েছেন, আচমকাই তারা অ্যান্টিবডিটি তৈরি করে ফেলেন। করোনার সঙ্গে লড়তে গিয়ে মানুষের ইমিউনিটি সিস্টেম দু’টি অ্যান্টিবডি তৈরি করে। সূত্র : ডেইলি মেইল, হিন্দুস্থান টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন