রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের মন্ত্রী, এমপি ও নেতারা তথা চট্টগ্রামবাসী যদি হাসপাতাল না চান তাহলে তো প্রধানমন্ত্রীও চাইবেন না। রেল মন্ত্রণালয়ও সেটার বিরুদ্ধে যেতে পারবে না। গতকাল শনিবার রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে এসে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে যেহেতু পিপিপিতে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়, সেহেতু রেলওয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আলাপ আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, সিআরবিতে হাসপাতালের নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার পর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হতেই পাল্টাপাল্টি আপত্তি এবং অভিযোগগুলো আমাদের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। কালুরঘাট রেল সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশার কাজ চলছে। বর্তমানে সেতুর উচ্চতা ৪.৬ মিটার। নৌ-যান চলাচলের জন্য এটি ১২.২ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি কখন দেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। অর্ধেক আসনে যাত্রী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে একমাত্র ট্রেনই চলাচল করছে। আর কোনও পরিবহন খাত এটি মানছে না। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত ওই রুটে নতুন ট্রেন দেওয়ার। ছাত্রনেতা ছিলাম, তাই ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা টান আমার বেশি।
এর আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অব্যবস্থাপনা দেখে দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শামস মো. তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী। স্টেশন পরিদর্শনে গেলে সেখানে ময়লা আর অব্যবস্থাপনা দেখে রেলমন্ত্রী এই দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। স্টেশনের সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, দোকানপাট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন