বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান আর নেই। গতকাল শনিবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। আজ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার লাশ শহীদ মিনার, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউতে নেয়া হবে। কাল সোমবার সুনামগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিএফইউজে, ডিইউজ. ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতের মুম্বাই জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসারমুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান। কিন্তু গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করেন।
মরহুমের ছেলে আনাফ ফাহিম অন্তর জানান, পীর হাবিবুর রহমানের লাশ গতকাল রাতে তার উত্তরার বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে বাদ এশা উত্তরা চার নম্বর সেক্টরের পার্ক মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাশ রাখা হবে। বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ নেয়া হবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। সেখান থেকে নেয়া হবে বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে। সোমবার সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে লাশ। বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে নামাজে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করা হবে।
পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ১৯৮৪ সালে সাংবাদিকতায় তার হাতেখড়ি। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার, যুগান্তর, মানবকণ্ঠ, আমাদের সময় পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন