পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২০ জন কথিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শনিবার দেশটির ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে বেলুচিস্তান প্রদেশের পাঞ্জগুর ও নওশকি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো অভিযান শেষ হয়েছে। এ অভিযানে ২০ জন কথিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সম্প্রতি ওই প্রদেশের কেচ জেলায় একটি নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে ‘সন্ত্রাসীদের’ হামলায় ১০ সেনাসদস্য নিহত হন। এরপরই অভিযানে নামে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে দেশটিতে হামলায় এক সেনা সদস্য নিহত হন। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের হামলায় আরও ২ সেনা সদস্য নিহত হন। এরপর দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলায় আরও ১০ সেনাসদস্য নিহত হন। এসব ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে দেশটির প্রশাসন। অপরদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে তিন জন নিহত হয়েছেন। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে পাকিস্তানি মাদক কারবারির সঙ্গে বিএসএফের গোলাগুলি হয়। এতে তিন মাদক কারবারি নিহত হন। তাঁদের কাছ থেকে ৩৬ প্যাকেট হেরোইন পাওয়া গেছে। বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এস পি এস সান্ধু বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ভোর আড়াইটার দিকে চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে বিএসএফ। ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানজুড়ে শনিবার ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন সংগঠন একযোগে এসব কর্মসূচি পালন করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দিবসটি উপলক্ষে এক বার্তায় বলেছেন, ভারত শাসিত কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী যে তৎপরতা চালাচ্ছে তা গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে। এই ধরণের তৎপরতা বন্ধে গোটা বিশ্বকে সোচ্চার হতে হবে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করারও আহ্বান জানান তিনি। ইমরান খান বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহার মেনে কাশ্মীরের জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতে হবে। এছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এক ভাষণে বলেছেন, কাশ্মীরের মজলুম জনগণের প্রতি তাদের দেশের নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে। ভারতশাসিত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যমে পাকিস্তানিরা গত কয়েক দশক ধরে প্রতিবছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালন করে আসছে। কাশ্মীর দিবসের কয়েকটি সমাবেশে শিশুরাও অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। ডন, আল-জাজিরা, এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন