ইনকিলাব ডেস্ক : কাশ্মীর বিষয়ক ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘কাশ্মীর এডভোকেসি গ্রুপ’ ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছে, স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা বুরহান ওয়ানিকে হত্যার পর কাশ্মীরবাসী মনে করেন তাদের দুর্দশা লাঘবে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। মানবাধিকার সংগঠনটির নেতারা কাশ্মীর সফর করে সেখানকার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের এবং সাধারণ রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ফিরে এসে সংগঠনের সদস্য সুশভা ভারবি বলেছেন, উপত্যকার মানুষের সংকট দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয়রা মনে করেন ভারত সরকার তাদের সমস্যাগুলোকে বরাবরই উপেক্ষা করে আসছে। কাশ্মীর এডভোকেসি গ্রুপের যে প্রতিনিধি দল শ্রীনগরে সফর করে স্থানীয় নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিল সেটির বাকি সদস্যরা হচ্ছেন, সিনিয়র বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং, ভারতের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ, সাংবাদিক ভারত ভূষণ এবং সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল কপিল কাক।
অনির্দিষ্টকালের জন্যে স্কুল বন্ধ ঘোষণা
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশী¥রে কর্র্তৃপক্ষ গতকাল কয়েকশ’ স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এ নির্দেশ দেয়া হয়। বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১৪ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জম্মু অঞ্চলে সীমান্তের ওপার থেকে নিক্ষিপ্ত গোলার আঘাতে ৮ বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর প্রায় ৩শ’ স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাম্বা ও রাজৌরি সেক্টরের দুটি স্থানে মঙ্গলবারের গোলা বর্ষণে দুই শিশুসহ ৮ বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। গত সোমবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাকিস্তানে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ১৮ মাস বয়সী একটি মেয়েসহ ৬ বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। সূত্র : টিএনএন, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন