চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী মশিউর বাহিনীর সদস্যদের সাথে র্যাবের গোলাগুলির পর বিপুল অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার গভীর রাতে ওই পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দুই ঘণ্টা গুলি বিনিময় শেষে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ চট্টগ্রাম অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- রফিকুল ইসলাম মালু (৪১), সিরাজুল ইসলাম (৩৪), মো. হাসান (৩৫), জামাল শেখ (৪৭) ও মিজানুর রহমান কদর (৩৫)। গত ৬ ডিসেম্বর জঙ্গল সলিমপুর থেকে ছিন্নমূল নেতা কাজী মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। মশিউর নিজেকে চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। র্যাব কর্মকর্তা এম এ ইউসুফ বলেন, মশিউর অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। ছিন্নমূল এলাকায় পাহাড়ে খাস জমি দখল, কেনাবেচা, চাঁদাবাজি, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে মশিউর ও তার বাহিনী জড়িত। ছিন্নমূল সংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন মশিউর। ওই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাকে গ্রেফতারের পর ছেলে শিবলু ওই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
র্যাব জানায়, সন্ত্রাসীদের ধরতে রাত ১০টার দিকে ছিন্নমূল পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। তখন শিবলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী র্যাবের ওপর প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে তারা গুলিবর্ষণ করে। র্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাবকে ১২৯ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে তিনজন র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা এম এ ইউসুফ।
গুলিবিনিময়ের পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সেনাসদস্যদের ব্যবহার করা একই ধরনের কিছু পোশাক ও একটি বাইনোকুলার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার রফিকুলের বিরুদ্ধে একটি, সিরাজুলের বিরুদ্ধে পাঁচটি, হাসানের বিরুদ্ধে সাতটি, জামাল শেখ ও মিজানের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন