আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের ইন্তেকালে তার প্রতি সম্মানে আদালত বসেনি। গতকাল রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। পূর্ব নির্ধারিত কার্যতালিকা অনুযায়ী গতকাল ভার্চুয়ালি আদালত বসেন। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আপিল বিভাগে বলেন, গত শুক্রবার মাননীয় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ইন্তেকাল করেন। এতে আমরা সবাই শোকাহত। আমি তার সম্মানে আজকে (রোববার) আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রার্থনা করছি। কোনো সিটিং জাজ ইন্তেকাল করলে তার সম্মানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। তার বক্তব্য সমর্থন করে বিচারপতি নাজমুল আহাসানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজলও বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন জানান। পরে প্রধান বিচারপতি ভার্চুয়াল আদালতে সংযুক্ত থাকা সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মনসুরুল হক চৌধুরী, আজমালুল হোসেন কিউসি, এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ সবার মতামত নেন। সিনিয়র আইনজীবীরা বিচারপতি নাজমুল আহাসানের প্রতি সম্মান জানিয়ে রোববার আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্যক্রম বন্ধ রাখার পক্ষে অভিমত দেন। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার সম্পাদকসহ সিনিয়র আইনজীবীরা যে প্রস্তাব রেখেছেন তাতে সবাই অবগত আছেন যে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাজমুল আহাসান ইন্তেকাল করেন। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হলো।
এর আগে গত শুক্রবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান মারা যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে পদোন্নতি পেয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান আপিল বিভাগে নিয়োগ পান। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর বিচারপতি শপথ নেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ওই দিন তিনি শপথ নিতে পারেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন