শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) আমৃত্যু দেশ ও মানুষের খেদমতে নিবেদিত ছিলেন

ইসালে ছওয়াব মাহফিলের আলোচনায় বক্তাগণ শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজসেবক, সাবেক মন্ত্রী, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মরহুম সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) আমত্যু দেশ ও মানুষের খেদমতে নিবেদিত ছিলেন। এদেশের শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম হযরত মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক ও কালজয়ী এক মহান ব্যক্তিত্ব।

মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) -এর ১৬তম ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল তারই প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর মহাখালীর মসজিদে গাউছুল আজমে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তরা এ কথা বলেন।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর বড় ছেলে, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন। এরপূর্বে বাদ জোহর থেকে আসর পর্যন্ত মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় বেশ কয়েকবার কোরআনখানী, খতম ও সাওয়াব রেসানী হয়। বাদ আসর সম্মিলিত জিয়ারাতের পর মাগরিব থেকে মূল আলোচনা শুরু হয়। এছাড়া মতিঝিলের টিকাটুলিতে দৈনিক ইনকিলাব ভবনে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাদ মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর জিবনীর উপর বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবীদ, মুফাস্সির, মুহাদ্দীস, গবেষক ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্বগণ ব্যাপক আলোচনা করেন। এসময় আলোচকবৃন্দ বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক,বিচক্ষণ রাজনীতিক এক মহান ব্যক্তিত্ব। তার দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা ছিল বিরল। বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্রপূর্ণ জীবনের অধিকারী মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) আমত্যু দেশ ও মানুষের খেদমতে নিবেদিত ছিলেন। তার জীবন পরিসরে তিনি যেসকল মহৎ কাজ করেগেছেন, জাতির ও জনকল্যাণে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা এই সল্প সময়ে আলোচনা সম্ভব নয়। দেশ ও জনগণ এবং ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধের প্রচার-প্রসার এবং তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে তার নিরলস শ্রম-সাধনা, ধ্যান-জ্ঞান, উদ্যোগ, বাস্তবায়ন যেমন মাইলফলক হয়ে রয়েছে, ঠিক তেমনি অনুসরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি দেশ, জাতি, শিক্ষা ও ইসলামের সেবায় অতিবাহিত করেছেন। দেশের অসংখ্য স্কুল কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে । তিনি আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃত ছিলেন। উনাদের পক্ষ থেকে কেরামত পর্যন্ত ঈসালে সওয়াব মরহুমের নিকট পৌঁছতে থাকবে। সবশেষে তেজগাঁও মদিনাতুল উলুম মডেল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের দুয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল ও আলোচনা সভার সমাপ্তি হয়।

আয়োজিত এ ঈসালে সাওয়াব মাহফিল ও আলোচনা সভার সঞ্চালক জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, দেশের সার্বিক দিক বিবেচনায় ও সরকারি বিধি মোতাবেক সল্প জনসমাগম ও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই এ অনুষ্ঠান সমাপ্ত করতে হচ্ছে। আশা করছি দেশের পরিস্থিাতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পূর্বের ন্যায় অত্যন্ত জাকজমকভাবে মরহুম হুজুরের ওফাত বার্ষিকী পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, ইছালে ছওয়াব মাহফিলে যারা অংশ নেন তারাও ছওয়াবের অংশ পান আর এটাই হচ্ছে ইছালে ছওয়াব মাহফিলের বিশেষত্ব।

তিনি বলেন, আজকে ইছালে সওয়াব মাহফিল মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) এর প্রতিষ্ঠিত মহাখালির মসজিদে গাউসুল আজমেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মরহুম হুজুরের বিশেষ অবদানের মধ্যে রয়েছে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, লাখ লাখ মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এবং ইসলামী অঙ্গনের জন্য প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব। তার এই সমস্ত নেক কাজের জন্য আজীবন সওয়াব পেতেই থাকবেন। অসংখ্য স্কুল কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান (রহঃ) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় অবিসংবাদিত নেতা। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীক ও কালজয়ী এক মহান ব্যক্তিত্ব।

ঈসালে সাওয়াব মাহফিল ও আলোচনা সভা আরো বক্তব্য রাখেন, ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেব, তুরাগ সাহেব আলী আলীম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মো: ছাদেক হাসান, মসজিদের গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের ইমাম আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
চট্টগ্রাম ব্যুরোর দোয়া মাহফিল :
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী, মসজিদে গাউসুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ১৬তম ওফাত দিবসে গতকাল দৈনিক ইনকিলাব চট্টগ্রাম ব্যুরোর আয়োজনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে বাদ আছর অনুষ্ঠিত মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মো. রাকিবুল ইসলাম। মোনাজাতে মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং সেইসাথে দৈনিক ইনকিলাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। মাহফিলে দৈনিক ইনকিলাব চট্টগ্রাম ব্যুরোর সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লিগণ শরিক হন।

ইসলামী ঐক্যজোটের দোয়া মাহফীল : বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি ও মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে জাতীয় জীবনে এক মহান নেতার স্থান অধিকার করেছেন। তিনি মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দেশে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাহার অবিরাম চেষ্টা ও সাধনা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাওলানা এম.এ মান্নান রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং দেশে ইসলামী গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করার একজন দিক নির্দেশক ছিলেন। তিনি দেশে পীর বুজুর্গ ওলামায়ে কেরামগণের মধ্যমনি হিসেবে আজীবন কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন ইসলামী অঙ্গনে একজন অদ্বিতীয় মহান নেতা।

গতকাল রোববার দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) এর ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট এসব কথা বলেন। ইসলামী ঐক্যজোটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজাম্মিল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি আব্দুল করিম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ বিন রিয়াছত ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (18)
M.M. Atikol Islam ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৭ এএম says : 0
মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান মানুষে জন্য দুনিয়াতে যে খেদমত করে গেছেন সে কর্মসমূহের সওয়াব নিয়মিত পৌঁছাতে থাকবে, ইনশায়াল্লাহ।
Total Reply(0)
Ibrahim Khalil ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৮ এএম says : 0
মাওলানা মান্নান জাতীয় দুর্যোগ মূহূর্তে নানানভাবে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মাদরাসা শিক্ষাসহ শিক্ষাব্যস্থার উন্নয়ন, ওলামায়েকেরামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। আল্লাহ তাকে উত্তম পুরস্কার দিন।
Total Reply(0)
MD Year Ali Sikder ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৮ এএম says : 0
শুকরিয়া। মাওলানা সাবের বিশেষ অবদানের মধ্যে রয়েছে শত শত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, লাখ লাখ মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এবং দৈনিক ইনকিলাব। তার এই সব নেক কাজের আজীবন সওয়াব পেতে থাকবেন ইনশায়াল্লাহ।
Total Reply(0)
Kazi Suzon ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৮ এএম says : 0
আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন। তার খেদমতকে কবুল করে দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমীন।
Total Reply(0)
M N Ahmed ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৮ এএম says : 0
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আজীবন সভাপতি হিসেবে মাদরাসা শিক্ষায় বিস্ময়কর উন্নয়ন ও মাদরাসা শিক্ষকদের ভাগ্যোন্নয়ন ও মর্যাদাবৃদ্ধি মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)-এর অসাধারণ অবদান।
Total Reply(0)
গিয়াস উদ্দীন ফোরকান ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৩৯ এএম says : 0
মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছাত্র হিসেবে ছিলেন তুখোড় মেধাবী। শিক্ষক হিসেবে ছিলেন মানুষ গড়ার দক্ষ কারিগর। শিক্ষক সংগঠক হিসেবে ছিলেন দিক-দিশারী। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের তিনি রূপকার। মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের তিনি সভাপতি ছিলেন।
Total Reply(0)
মাহমুদ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪০ এএম says : 0
তার প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তিনি ছিলেন বহু প্রতিষ্ঠানের অবিভাবক। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক
Total Reply(0)
মনিরুজ্জামান ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪১ এএম says : 0
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার অবিরাম চেষ্টা ও সাধনা চিরস্মরণীয়। এজন্য এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ তাকে আজীবন স্বরণ রাখবে
Total Reply(0)
তাজউদ্দীন আহমদ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৩ এএম says : 0
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ইসলামী চেতনাভিত্তিক ইনকিলাবের ন্যায় পত্রিকার সফলতা ছিল প্রায় অসম্ভব এবং অপ্রত্যাশিত। মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। সর্বগ্রাসী হতাশার দিগন্তে ইসলামী চেতনাসম্পন্নদের নিকট মাওলানা আবদুল মান্নান তাই এক অনুপ্রেরণার নাম।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৪ এএম says : 0
মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবকে আল্লাহতায়ালা উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা দিয়ে ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন ছিলেন তিনি। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব দেশে ও ইসলামী বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। তিনি সকল প্রতিকূলতা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রকৃত অর্থে মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের তুলনা তিনি নিজেই।
Total Reply(0)
Ibrahim Khalil ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৫ এএম says : 0
মাওলানা মান্নান জাতীয় দুর্যোগ মূহূর্তে নানানভাবে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মাদরাসা শিক্ষাসহ শিক্ষাব্যস্থার উন্নয়ন, ওলামায়েকেরামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। আল্লাহ তাকে উত্তম পুরস্কার দিন।
Total Reply(0)
আরাফাত হোসেন ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৬ এএম says : 0
প্রিয় মাওলানা মরহুম এম এ মান্নান (রহ.) কেবল একটি নাম নয়, একটি চেতনা, একটি নেতৃত্ব এবং একটি সাধনার প্রতীক। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী প্রথিতযশা মহাক্কেক। তিনি ছিলেন এক খানদানী ঐতিহ্যের অধিকারী ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব, একটি ইতিহাস ও চেতনা। এদেশের আলেম সমাজ কাকে সবসময় স্মরণ করবে।
Total Reply(0)
জাফর ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৭ এএম says : 0
আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশে আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর অবদান ব্যাপক ও অপরিসীম। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি হিসেবে দেশের মাদরাসা শিক্ষকদের পদমর্যাদা, নিরাপত্তা ও আর্থিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা হিসেবে শিক্ষকদের আত্মপ্রতিষ্ঠা, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি যে ভূমিকা ও অবদান রেখে গেছেন, তা অতুলনীয়। মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী, আধুনিক এবং এর মান-মর্যাদা বৃদ্ধির যে ক্রমবর্ধমান প্রয়াস চলছে, তা তাঁর দূরদর্শী চিন্তারই ফসল। তাঁর প্রদর্শিত পথরেখা অনুযায়ীই সরকার মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের কাজ করে চলেছে। তিনি নিজে যেমন স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, তেমনি এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানকেও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। যে ইসলামী-আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা তার মানস চিন্তারই ফসল।
Total Reply(0)
রায়হান ইসলাম ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৯ এএম says : 0
মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) একজন প্রাজ্ঞ ও সুদক্ষ আলেমেদ্বীন ছিলেন। তিনি আলেম সমাজের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে কার্পণ্য করতেন না। তাদের ভালবাসতেন। এ ব্যাপারে তিনি দলীয় মতাদর্শকে কখনো বিবেচনায় রাখতেন না। সকল দল ও মতাদর্শের আলেমগণ তাঁর কাছে সমান মর্যাদা লাভ করতেন। ফলে সকল মত ও পথের আলেমগণ বিনা সংকোচে তাঁর কাছে আসতেন। তবে কোনো আলেমের অন্যায়কে তিনি কিছুতেই সমর্থন করতেন না।
Total Reply(0)
MD Year Ali Sikder ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৯ এএম says : 0
আসুন আমরা সকলেই মরহুম মগফুর মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে সকল ভেদাভেদ ও মতপার্থক্য ভুলে দরবার, খানকা, পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি।
Total Reply(0)
নুরুল আবছার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৫০ এএম says : 0
আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন। তার খেদমতকে কবুল করে দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমীন।
Total Reply(0)
নাবিল আব্দুল্লাহ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৫১ এএম says : 0
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন দৈনিক ইনকিলাব এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) আজীবন দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর খেদমত করে গেছেন। বিশেষ করে এ দেশে মাদরাসা তথা ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তার ভুমিকা অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক। ইরাকসহ ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশসমূহের সাথে তার গভীর সম্পর্ক ছিল।
Total Reply(0)
বায়েজীদুর রহমান রাসেল ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৫২ এএম says : 0
সমাজকল্যাণমূলক তৎপরতায় মাওলানা এম এ মান্নান রহ. তাঁর জমিয়াত সংগঠনের মাধ্যমে নানা ক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাঁর সংগঠন ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধপত্র নিয়ে দুর্গত ও উপদ্রুব এলাকায় পৌঁছে যেত এবং ক্ষতিগ্রস্ত গরীব-দুঃখী-অসহায়দের মধ্যে সাহায্য সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার প্রতি সহায়তায় এগিয়ে আসার বহু দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তাঁর সেই সংগঠন আজো মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করে তাঁর আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন