শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সমাবেশ টার্গেট করে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে-মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টফ রিপোর্টার : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ নভেম্বরের ঘোষিত সমাবেশ নিয়ে সরকারি দলের নেতাদের নানা-রকম বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সরকারের কাছ থেকে ‘ইতিবাচক’ সাড়া পাবে বলে আশাবাদী বিএনপি। একই সঙ্গে দলটি অভিযোগ করেছে যে, এই সমাবেশকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা জানান।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। আগামী ৭ নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ সফল করা উপলক্ষে ঢাকা জেলাসহ আশাপাশের জেলার নেতাদের সাথে এই বৈঠক হয়।
পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ করবো। ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি। আশা করছি, অনুমতি পাবো, সরকার এটাতে পজেটিভ রেসপনস করবেন। একই সঙ্গে আশা করছি, সরকার মুখে যে গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, বিশেষ করে কাউন্সিলে তারা যে গণতন্ত্রের কথা উচ্চারণ করেছেন, সেটার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্যই আমাদের সমস্ত গণতান্ত্রিক কর্মসূচিগুলোতে কোনো বাঁধার সৃষ্টি করবে না।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী ও জনতার বিপ্লবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে আসেন। এ দিবসটিকে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ইতিমধ্যে সমাবেশকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বলেই এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়। একটা সমাবেশ করা হবে, তার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ট করা হচ্ছে। আমি আশা করি এর তারা (সরকার) এ থেকে তারা সরে আসবেন। তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
৭ নভেম্বরের পূর্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করীম পলসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
সমাবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কয়েকজন নেতা, তাদের ভাষা স্বৈরাচারী ভাষা। একদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা রাজনীতি করছেন। আমরা বার বার বলেছি, আমরা সংঘাতের রাজনীতি চাই না। গণতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা একটা সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্ট করতে চাই।
যশোরের মনিরামপুরের শ্রমিক দলের নেতা আনিসুর রহমানকে গত সোমবার সাদা পোশাকধারী সদস্যরা গ্রেফতার করার পর বুধবার তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, সাইয়েদুল আলম বাবুল, টাঙ্গাইলের গৌতম চক্রবর্তী, শামসুল আলম তোফা, নরসিংদীর বদরুজ্জামান খসরু, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার, মানিকগঞ্জের মইনুল ইসলাম শান্ত, জিয়াউর রহমান খান, মুন্সিগঞ্জের আব্দুুল হাই, আলী আজগর রিপন মল্লিক, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম খান, মুনির খান, নিপুন রায় চৌধুরী, এম এ কবির জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন