মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও অ্যাড. কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দুই জনই সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। এই পদ থেকে তাদেরকে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পদে উন্নীত করা হলো।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এবং অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পদে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। লিটন কার্যনির্বাহী সংসদেরসদস্য এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
গতবছরের ১৯ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মায়া, কামরুল এবং লিটনকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলী।
২০১৯ সালের জাতীয় সম্মেলনের পর ঘোষিত কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ১৭ জন। তারা হলেন, সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মরহুম মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, মরহুমা সাহারা খাতুন, মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মান্নান, মরহুম আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, আব্দুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।
২০২০ সালের ১৩ জুন মারা যান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। ওই বছরের ১০ জুলাই মারা যান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য অ্যাড সাহারা খাতুন। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. আবদুল মতিন খসরু। এতে শূন্য হয় সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি পদ। এসব পদেই দায়িত্ব পেলেন মায়া, কামরুল ও লিটন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন