এবার ‘গ্রামীণ টেলিকম’র অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী ইউনিয়ন। গতকাল সোমবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এ আবেদন জানান। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান আবেদনকারীর আইনজীবী ইউসুফ আলী।
অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, গ্রামীণ টেলিকমের কাছে শ্রমিকদের পাওনা ২৫০ কোটি টাকার বেশি। এই পাওনা টাকার দাবিতে কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছে। এমনও হয়েছে যে, এক নোটিশেই ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। পাওনা চেয়ে মামলা করায় এমনটা করা হয়।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা জানান, কোনো নোটিশ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএ’র সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশের মাধ্যমে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ টেলিকম ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়েছে।
বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী। পরে বকেয়া পাওনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা। ঢাকার শ্রম আদালতে সবমিলে ১০৭টি মামলা করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ১৪ কর্মী আরও ১৪টি মামলা করেন পাওনা টাকার জন্য।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে ৩৪.২০ শতাংশ শেয়ার আছে গ্রামীণ টেলিকমের। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব পল্লী ফোন ছাড়াও নোকিয়া মোবাইলের সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ৫ শতাংশ মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা হয়েছে ৬ হাজার ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু এ নিট মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মীদের, প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ তহবিল ও সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও ৮০ঃ১০ঃ১০ অনুপাতে পরিশোধ করার বিধান থাকলেও তা পরিশোধ করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন