ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় বিজয়ী ইউপি সদস্যের বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। দুটি গরুকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সহিংসতার ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গত সোমবার সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়।এর মাঝে ৯ নং উচাখিলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মরিচারচর মাইজপাড়া গ্রামে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ওই ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার। বাশার নিজের নির্বাচনের পাশাপাশি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুল ইসলামের পক্ষে এলাকায় কাজ করেছেন। ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম। নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আবুল বাশার ও তার স্বজনদের বাড়িতে সহিংসতা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মেম্বার বাশারের বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় দুটি মোটরসাইকেল, অন্তত ৫টি খরের গাদায়। শুধু তাই নয় হামলা চালানো হয় গবাদি পশুর উপরেও আর এ হামলায় আবদুল মজিদ ও এবাদুলের দুটি গরু পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, নিয়ে যায় দুটি ছাগল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মেম্বার আবুল বাশার জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন অকারণে তাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটতরাজ করেছে। তিনি আইনী পদক্ষেপ নিবেন।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম জানান, নৌকার প্রার্থীর নির্দেশে তার বাড়িতে হামলা করতে আসে বাশার মেম্বারের নেতৃত্বে লোকজন। ওই সময় তাদের একটি ঘর ভাঙা হয়। পরে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে বাশারের হামলার জবাব দেয়। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন