চীন এবং পশ্চিমাদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার মিশনে এ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া, ফিজি এবং হাওয়াই সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøনকেন। চীন যখন এ অঞ্চলে সহায়তা এবং প্রভাব বিস্তার করেছে, তখন এসব দেশ ও মিত্রকে নিরাপত্তা ও করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন তিনি। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে কি কৌশল নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন তা তিনি এসব দেশের নেতাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে- অস্ট্রেলিয়া, ফিজি এবং হাওয়াইয়ে এক সপ্তাহের সফরে সোমবার ওয়াশিংটন ছেড়েছেন বিøনকেন। এ সময় তিনি অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত অনানুষ্ঠানিক জোট কোয়াডের মিটিং করবেন। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ক‚টনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রশান্ত মহাসাগরে ঘাঁটি নির্মাণ করতে চাইছে চীন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন। এ ইস্যুতে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস ব্রিফিং করেন। সেখানে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, ইউক্রেন সঙ্কটের কারণে বিøনকেন কি এই সফর বাতিল করতে যাচ্ছেন? জবাবে নেড প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একই সময়ে মুখে চুইংগাম চিবাতে পারে এবং হাঁটতে পারে। অর্থাৎ একই সঙ্গে এমন দুটি কাজই করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরও করবেন এবং একই সঙ্গে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়েও কাজ করবেন। তা সত্তে¡ও ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে খুব বেশি মাত্রায় সচেতন থাকবেন বিøনকেন। নেড প্রাইস বলেন, আমাদের দেশ অনেক বড়। আমাদের মন্ত্রণালয় অনেক বড়। আমাদের সামনে প্রচুর চ্যালেঞ্জ। তাই সফরের সময় ইউক্রেন ইস্যুতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তার যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। কয়েকদিন আগেই চীন ও রাশিয়া অংশীদারিত্বের ‘নো লিমিট’ কৌশল ঘোষণা করেছে। তারা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এরপরই এই সফরে এসেছেন বিøনকেন। এসব বিষয়ে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ ক‚টনীতিক ডানিয়েল ক্রিতেনব্রিঙ্ক। বিøনকেনের এই সফর নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে মন্তব্য করেছেন তা উদ্ধৃত করে ডানিয়েল বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক শি জিনপিংয়ের হয়েছে। এই বৈঠককে ইউক্রেন উত্তেজনা প্রশমনের একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত ছিল। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও চীন তাদের পারস্পরিক মৌলিক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার প্রত্যায় ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে আছে রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন। অন্যদিকে চীনের জন্য আছে তাইওয়ান। এক্ষেত্রে এই দুটি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তাতে অকাসের মাধ্যমে চীনকে মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার নিন্দা জানানো হয়েছে। অকাস চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন