শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

খুলনায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

টাকা শুঁড় দিয়ে মাহুতের হাতে পৌঁছালেই মিলছে মুক্তি

ডি এম রেজা সোহাগ, খুলনা থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

গভীর অরণ্যে থাকার কথা। কিন্তু বনাঞ্চল ছেঢ়ে খাবারে খোঁজে লোকালয়ে নয়। একেবারে শহরের রাস্তায়। বড় আকারের দুইটি হাতি। আর হাতি দু’টিকে দেখে লোকজন হঠাৎ দিকবিদিক হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। এমন ঘটনা ঘটেছে খুলনা মহানগরের জংশন মোড়ে।

গতকাল দুপুর ১টার দিকে জংশন মোড়ে হঠাৎ দিকবিদিক হয়ে মানুষের ছোটাছুটি। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। হাতির উপরে দুই মাহুত। রাস্তার প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল সব রুখে দিচ্ছে হাতিগুলো।
বিশাল শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরছে গাড়ি। টাকা দিলে মিলছে মুক্তি। টাকা না দিলে হাতি পথ ছাড়ছে না। রাস্তার পাশেও দোকানগুলোতে হাতি শুঁড় দিয়ে দোকানীদের জানান দিচ্ছে টাকা চাই। টাকা দিলে তা শুঁড় দিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে উপরে বসা মাহুতকে।

এমন দৃশ্য রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মহানগরীর পুরো বিআইডিসি রোড, জংশন রোড, জোড়াগেটসহ প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় চলে এমন অভিনব চাঁদাবাজি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দায়িত্বরত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যদের এ সময় অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাতি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এভাবে চাঁদাবাজির কারন কি? এমন প্রশ্নে হাতির মাহুত রবিউল জানান, দুটি হাতির পিছনে প্রতিদিন খরচ প্রায় চারশত টাকা। এগুলো সার্কাসের প্রশিক্ষিত হাতি। এখন সার্কাস কেউ দেখে না। হাতিগুলোকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের খাবার খাওয়াতে হয়।

তারা দাবি করেন, কাউকে ভয় দেখিয়ে টাকা নেন না। লোকজন খুশি হয়ে টাকা দেন। তাদের এমন কথার সত্যতা স্থানীয়দের অনেকেই স্বীকার করতে রাজী নন। এদিকে প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও খুলনা বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম জানান, পশু দিয়ে চাঁদাবাজি কোনো ভাবেই কাম্য নয়। লোকজন এখন সার্কাস দেখে না। সে জন্যই সরকারিভাবে হাতিগুলো সংরক্ষণ ও প্রতিপালন করা প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন