শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জে ৫ খুনের রহস্য উদঘাটনের পথে

প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে মো. হাফিজুর রহমান মিন্টু : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৫ খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় নিহত তাছলিমার স্বামী ও মামলার বাদী শফিকুল ইসলামের বোন আফিয়া বেগমের ছেলে মাহফুজ ওরফে মারুফকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখিয়েছে এবং তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করতে পেরেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, মাহফুজের নাম মামলার এজাহারে ছিল। পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাতদন্তে আমরা কোনো বিষয়কেই ছোট করে দেখছি না। তবে ২টি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি হচ্ছে টাকার লেনদেন এবং অপরটি নারী ঘটিত। ভাগ্নে মাহফুজের অতীত ঘটনাটি এজাহারে স্পষ্টভাবেই বাদী উল্লেখ করেছেন। টাকার লেনদেন এবং নারী ঘটিত উভয় ক্ষেত্রেই উভয় পক্ষের (ঋণদাতা নাজমা ও শাহজাহান এবং ভাগ্নে মাহফুজ) ক্ষোভ ছিল পরিবারটির উপর। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গেই মামলাটি তদন্ত করছে। বেশ কিছু অগ্রগতিও রয়েছে। তবে তদন্তর স্বার্থে এখনই সব কিছু প্রকাশ করেননি তিনি।
অপরদিকে গতকাল (সোমবার) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে গ্রেফতারকৃত মাহফুজকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে হাজির করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ৫ জনকে হত্যার ঘটনায় শনিবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মাহফুজকে আটক করে পুলিশ। তবে, ভাগ্নে মাহফুজ আদালতকে জানায়, আমি কিছুই জানি না। আমাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। একথা বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সে মোরশেদের কারখানায় কাজ করতো।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনে নারায়ণগঞ্জের এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব ডিবির হাতে ন্যস্ত করার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন এই ৫ খুনের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইন্সপেক্টর আবুল খায়েরকে।
মামলার এজাহারে ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহান এবং বাদী শফিকের ভাগ্নে মাহফুজের নাম উল্লেখ রয়েছে। নাজমা এবং শাহজাহানের ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে, তাছলিমা তাদের কাছ থেকে চড়া সুদে বিভিন্ন সময় ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দিতে না পারায় তারা তাছলিমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের হুমকির কারণে গত ৯ মাস আগে ঢাকার কলাবাগান থেকে নারায়ণগঞ্জে চলে আসে তারা। আর ভাগ্নে মাহফুজের সঙ্গে তার ছোট মামীর (নিহত লামিয়া) একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে হত্যাকা-ের ১৫ দিন আগে। ওই ঘটনায় বড় মামী তাছলিমা ভাগ্নে মাহফুজকে জুতা পেটা করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিল। এই দু’টি কারণের যে কোন একটি কারণে খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন