লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দিবেইবাহর ওপর বন্দুক হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ওপরে এই হামলা চালায়। প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজের বাসভবনে ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দিবেইবাহের গাড়িবহরে বন্দুক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এটিকে স্পষ্টতই পরিকল্পিত একটি হত্যাচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে সূত্রটি। বন্দুক হামলার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তারা এই হামলার ঘটনার কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ পায়নি এমনকি হামলার পরবর্তী অবস্থারও কোনো ছবি বা ফুটেজ তাদের হাতে আসেনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দিবেইবাহকে হত্যাচেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো ব্যক্তির সঙ্গেও তারা কথা বলতে পারেনি।
আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহকে হত্যাচেষ্টা হয়ে থাকলে এটি লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করতে পারে। গত বছর ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানামুখী জটিলতার কারণে শেষমুহূর্তে সেই নির্বাচন বাতিল করা হয়। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার লিবিয়ার পার্লামেন্ট ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহকে ক্ষমতা থেকে নামাতে এই ভোটের আয়োজন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের একনায়ক শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
গত বছরের মার্চে আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহ জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন