শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

এক কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর)। এছাড়া টেকনাফভিত্তিক ইয়াবার মূল কারবারি ও ঢাকার প্রধান ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ডিএনসি ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এক কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। এছাড়া টেকনাফ ভিত্তিক ইয়াবা চালানের মূল কারবারি ও ঢাকার প্রধান ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রটি একাধিক বাসা ভাড়া নিয়ে অভিনব কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
পরে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ে (উত্তর) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় জানানো হয়, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক বেচাকেনায় জড়িত একটি চক্রের মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে একজন নারী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-তানভির মাহমুদ, রবিন, মো. ইব্রাহিম, ইয়াকুব, মো. শামসুর আলম এবং জবা আক্তার। তাদের কাছ থেকে মোট ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান জানান, প্রথমে তানভির মাহমুদ এবং রবিনকে ভাটারা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্রের নাম বলে এবং তারা ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানায়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব শেওড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর এবং জবাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ইয়াবার ‘বড় একটি চালান’ জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে মেহেদী হাসান বলেন, মাদকের এই চালানটি বুধবার রাতেই টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম, ইয়াকুব এবং শামসুরের বাড়ি টেকনাফ। ওই এলাকার মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তারা আছেন। ইয়াবার একটি বড় চালান ঢাকায় অন্যজনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা পেমেন্ট নিতে বিমানে করে ঢাকায় আসে।
তিনি জানান, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে তারা কোনো মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করতেন না। নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ ব্যবহার করে মাদকের লেনদেন করে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃত জবা আক্তারের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বলেন, পূর্ব শেওড়াপাড়ায় জবার নামে তিনটি বাসা ভাড়া নেওয়া আছে, যেখানে মাদকের চালান আসে এবং এসব বাসা থেকে ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বাসাগুলো অত্যন্ত দামি আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো জানিয়ে তিনি বলেন, দেখলে মনেই হবে না এরা মাদক কারবারি। তাদের ব্যাপারে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন